নিজস্ব সংবাদদাতা : গত বছরের মে মাসে উলুবেড়িয়া পৌরসভার ২১ নং ওয়ার্ডে ডিজাস্টার অ্যাক্ট আইনে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন জনৈক ব্যক্তি। সেই মামলাতে হাজিরা দিতে বুধবার উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতে এলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এদিন উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতে হাজিরা দেওয়ার পর তিনি নাম না করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিকিউরিটি প্রসঙ্গে তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, এর বাপের টাকায় ওকে সিকিউরিটি দিয়েছে? দুশো পুলিশ থাকে। কার বাপের টাকায় সিকিউরিটি পেয়েছে। জেড ক্যাটাগরি নিয়ে ঘুরছে, কে চাঁদু হে। দু’পয়সার নেতা। তাকে সবসময় সিকিউরিটি, ২৫-৩০ টা গাড়ি। রাজ্যের অর্ধেক পুলিশ তো তৃণমূল নেতাদের বাড়ি পাহাড়া দিচ্ছে। গরীব মানুষকে কে দেখবে। দম থাকলে নিজের পয়সায় সিকিউরিটি রাখো, ছেড়ে দাও পুলিশ। পুলিশ তাবেদারি করতে করতেই তো গেল। চোর ডাকাত কি ধরবে? তাই লোকের বাড়িতে বোম-বন্দুক টাকা পাওয়া যাচ্ছে। পুলিশের কোমর ভেঙে দিয়েছো তোমরা। চাকর-বাকরের মত ব্যবহার করছ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চপ ভাজা প্রসঙ্গেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। তিনি বলেন, ২৪ শে’র পর এটাই করতে হবে। প্র্যাক্টিস করছেন। চপ ভেজে বাচ্চা কোলে নিয়ে আর আদিবাসী মহিলাদের সাথে নেচে আমাদের জঙ্গলমহলের লোককে অনেক বোকা বানিয়েছেন। বোকা বনতে রাজি হয়নি। প্রত্যেক ভোটে হারিয়েছে। এবার তারা চোখে চোখ রেখে বলেছে যে, ১২ বছর আপনারা আমাদের জন্য কিছুই করেননি। শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ঢপবাজি করেছেন। বিস্তারিত জানতে নীচে পড়ুন…
এবার মুখের উপর বলে দিয়েছে জল নেই,বাড়ি দেয়নি, বাড়ির টাকা শৌচালয়ের টাকা মেরে দিচ্ছে। খাবার নেই, রাস্তা নেই, চাকরি নেই, স্কুল নেই। জঙ্গলমহলে কিছুই নেই। লোক তো বলবেই। আর কত সহ্য করবে। কুনাল ঘোষের প্রভাবিত করার প্রশ্নে তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সি বি আই এবং কোর্ট। বিজেপি কাউকে প্রভাবিত করতে পারেনা। ওনারা যেমন পুলিশ কেচালাচ্ছেন। উনি বললেন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফ আই আর হোক আর তা হয়ে গেলো। অখিল গিরি গালাগালি দিচ্ছে রাষ্ট্রপতিকে, অথচ তার বিরুদ্ধে এফ আই আর হয়না। তাহলে কে প্রভাবিত করছে। নিশিথ প্রামানিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হতে পারে,আমার বিরুদ্ধে অনেক জায়গায় হয় ওয়ারেন্ট। আমি গিয়ে জামিন নিই। কোথায় কত কেস হয়ে আছে জানিনা। এখানে আমফানের পর ত্রিপল বিলি করতে এসেছিলাম। আমার নামে ডিজাষ্টার অ্যাক্টে কেস দিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে তৃনমূলের জমায়েত নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতির রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন ঠিক বলেছেন। তার বাড়িতে সিনিয়র সিটিজেন আছেন। এম এল এ,এম পি সবাই আছেন। সেখানে বাড়ির সামনে গিয়ে হুজ্জুতি করবেন।তাহলে তো রোজ আমরা কালিঘাটে গিয়ে করবো,বোঝো কেমন লাগবে। ঝালদা পৌরসভা দখলে মরিয়া তৃণমূল। এবার ঝালদা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী হিসেবে জয়ী শীলা চ্যাটার্জির সদস্যপদ খারিজ করার আবেদন করল তৃণমূল। তিনি বলেন মেজরিটি না পেয়ে কংগ্রেস কাউন্সিলর কে গুলি করে খুন করে ওনারা।তাই বোর্ড হয়েগিয়েছিল। কিন্তু এখন উল্টো হয়ে গিয়েছে।তাই নির্দলের সদস্যতা খারিজ করে মেজরিটি চাইছেন।এই হিংসার রাজনীতি চালাকির রাজনীতি বাংলায় চলছে। মানুষ পরিশ্রান্ত এবার এর পরিবর্তন হবে।প্রসন্ন রায় ইস্যুতে তার গ্রেফতারির দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন দম থাকলে গ্রেফতার করুক। কোর্টেই বসে আছি।সবাইকে ডাকাত ভাবে নাকি। বংশ শুদ্ধু চোর।আমাকে চোর বলছে।