নিজস্ব প্রতিবেদক : ঠিক ৩৬৫ টা দিন পিছনে যাওয়া যাক। ২০২০ সালের মার্চ মাসের শেষ দিক। দেশজুড়ে করোনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। প্রথমে জনতা কার্ফু, তারপর লকডাউনের পথে হাঁটল ভারত। সেই চিত্র সবারই স্মৃতিতে এখন বেশ উজ্জ্বল। মাঝে কেটে গিয়েছে একটা বছর। করোনা কেড়ে নিয়েছে বহু প্রাণ।
ভ্যাক্সিন এসেছে বটে, কিন্তু, মানুষের সচেতনতার ছবিটাও যেন যত দিন গেছে ততই পাল্টে গেছে। পারস্পরিক দূরত্ব তো দূরের কথা বহু মানুষ মাস্কহীন অবস্থাতেই দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আবার কেউ থুতনিতে মাক্স নামিয়ে রাখছেন কেউবা আবার নাকে তুলে দিচ্ছেন মাস্ক। এসবের মাঝেই বঙ্গে হাজির একুশের মহারণ। মহারণই বটে।
আগামী পাঁচ বছরের জন্য বঙ্গের ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে নেমেছে রাজনৈতিক দলগুলো। এরইমধ্যে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এরাজ্যে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ। স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে সোমবারের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এরাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬৮, মৃত ২।
হাওড়া জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় মোট ২৯ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। করোনার এই ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণকে অনেকেই দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রাথমিক অবস্থা বলেও মনে করছেন।
ইতিমধ্যেই, এরাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে বিপুল লোক সমাগম ও মাস্ক ব্যবহার কিমবা পারস্পরিক দূরত্ব বিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকদের অসচেতনতা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, বহু মানুষই মাস্ক ব্যবহার করছেন না।
কিন্তু, আমাদের মনে রাখতে হবে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, স্যানিটাইজ করতে হবে ও করোনা সম্পর্কিত অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। করোনার বাড়বাড়ন্তকে রুখতে আবারও জনমানসে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউকে রুখতে আগামী দিনে মানুষ কতটা সচেতন হয় কিমবা প্রশাসন ঠিক কী ব্যবস্থা নেয় এখন সেটাই দেখার বিষয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।