নিজস্ব সংবাদদাতা : গতকাল রাতে রাজ্যের তৃতীয় করোনা আক্রান্তের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়া জেলা হাসপাতালে। মৃত রোগীর লালারস পরীক্ষার জন্য এসএসকেএমে পাঠানো হয়। জানা গিয়েছে, ওনার রিপোর্ট পজিটিভ। এরপরই আজ সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন উক্ত হাসপাতালের নার্সদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, করোনা আক্রান্ত ওই মধ্যবয়সী মহিলাকে আইসোলেশন তো দূরের কথা সাধারণ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল। যার ফলে ইতিমধ্যেই হাসপাতালের কর্মচারী ও অন্যান্য রোগীরা আতঙ্কিত। জানা গেছে, হাওড়ার সালকিয়ার বাসিন্দা ওই মহিলা বেশ কয়েকদিন আগে ডুয়ার্স থেকে ফেরেন। জ্বর, সর্দিকাশি নিয়ে রবিবার সত্যবালা আইডিতে যান। তারপর সেখান থেকে তাঁকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
তারপরই গতকাল রাতে মৃত্যু হয় ওই মহিলার। উল্লেখ্য, গতকাল দুপুরেই হাসপাতালের সুপার নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান জেলা হাসপাতালের প্রায় ৭৫ জন নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী। তাঁদের দাবি ছিল, হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩০ টি বেড থাকা সত্ত্বেও জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসা রোগীদের রাখা হচ্ছে জেনারেল ওয়ার্ডে। বিক্ষোভের কয়েক ঘন্টা পরেই নার্সদের আশঙ্কাকে সত্যি করে জেনারেল বেডে রাখা ‘করোনা’ আক্রান্ত মহিলার মৃত্যু ঘটল। করোনা’র করাল গ্রাসে চিনের পর ইতালি, আমেরিকা সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখনকার্যত মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে, সেই ভয়াল পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে জেলার শীর্ষ সরকারি হাসপাতালে এই চূড়ান্ত অব্যবস্থা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে অন্ধকার আগামীকে। আর কবে টনক নড়বে স্থানীয় প্রশাসনের – সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।