বিশেষ প্রতিবেদক : দক্ষিণ ২৪ পরগনার সন্তোষপুরের বাসিন্দা বর্তমানে বাগনান স্টেশনে ঠাঁই নেওয়া বানী দাসের পাশে দাঁড়িয়ে একাধারে রবীন্দ্র স্মরণ ও অন্যদিকে মাতৃ দিবস পালন করলেন বাগনানের রবীন্দ্র অনুরাগীরা। রবিবার কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে ও সামাজিক দূরত্ব মেনে বাগনান পান আড়তে সেভ লাইফ ফাউন্ডেশনের ব্যানারে এদিন পালিত হল।
উল্লেখ্য রবিবার ছিল মাতৃ দিবস। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস সংসারে নিজেকে ব্রাত্য অনুধাবন করে আট মাস আগে ঘর ছাড়েন বানী দেবী। যদিও বছর সত্তরের বানী দেবীর একটা সময়ে সব ছিল। অসুস্থ স্বামীর সেবা করতে আর দুই সন্তান মানুষ করতে জীবন সংগ্রামে ব্রতী হয়েছিলেন। এখন স্বামী পরপারে। নিজে আর খাটতে পারেন না। দুই সন্তান বিয়ের পর সংসারে ব্রাত্য হয়ে যান তিনি। নয়া ভাগ্যের অন্বেষণ করতে করতে আট মাস আগে বাগনান স্টেশনে ঠাঁই নেন।
বাগনান স্টেশনে ভবঘুরেদের কাছে এখন তিনি মাসীমা।তবে বানী দেবীর অবসরের সঙ্গী বই। এখন লোকাল ট্রেন বন্ধ। তাই আর ভিক্ষে করে আহার টুকু জোটে না। সব আছে অথচ এখন স্টেশন বাহিনী এক মায়ের পাশে বুধবার মাতৃ দিবসে দাঁড়ালো বাগনানের মানস বসু, চন্দ্র নাথ বসু, অনির্বাণ সামন্ত, মধূসুদন বাগ সহ এক ঝাঁক মানুষ।
বই প্রেমী বানী দেবীর হাতে তুলে দিল রবীন্দ্রনাথের লেখা বই। দেওয়া হল শাড়ি, মিস্টি। সেভ লাইফ ফাউন্ডেশনের সম্পাদক চন্দ্র নাথ বসু জানান, রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে বই পাগল বানী মা য়ের হাতে এই উপহার তুলে দিতে পেরে ভালো লাগছে। এদিন উপস্থিত বেশ কয়েকজন এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।