নিজস্ব সংবাদদাতা : রক্তদাতাদের প্রতি অবহেলার অভিযোগ উঠলো উলুবেড়িয়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে। রক্তদাতাদের রক্ত ক্ষরণ হলেও ব্যাণ্ড এইড মিললো না রক্তদান শিবিরে আসা উলুবেড়িয়া ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মীদের কাছে। শুক্রবার এহেন অমানবিক ঘটনার সাক্ষী থাকলো বাগনানের শুভ ভবনে অনুষ্ঠিত এক রক্তদান শিবিরে। যা দেখে রীতিমত বিস্মিত জীবনের প্রথম রক্তদান করেন তনুরিমা চৌধুরীর মত কলেজ পড়ুয়ারা।উলুবেড়িয়া ব্লাড ব্যাঙ্ক ব্লাড ডোনার হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ আয়োজিত রক্তদান শিবিরের রক্ত সংগ্রহ করে। শিবিরে দেখা যায় রক্তদাতারা রক্তদানের সুঁচ খোলার পর হাতের শিরা স্টিচ করার ব্যাণ্ড এইড দেওয়া হচ্ছে না। পরিণতিতে অনেকের শিরা দিয়ে রক্ত বের হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিস্তারিত জানতে নীচে পড়ুন…
রক্তদাতা শান্তনু মজুমদার, সুমন হাইতের অভিযোগ, উলুবেড়িয়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হলেও রক্তদানের পর সামান্য স্টিচটুকু রক্তদাতাদের দেয় না। সরকার কি তাহলে স্টিচ কেনার পয়সা দিচ্ছে না? তাহলে কেন রক্তদানের পর সামান্য ব্যাণ্ড এইড দেওয়া হচ্ছে না।২০২০ সালের প্যাণ্ডমিক পরিস্থিতিতে যখন রক্তদান শিবির বন্ধ ছিল রক্তদাতাদের নিয়ে তৈরি ব্লাড ডোনার হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ রক্তদান করে মুমূর্ষ রোগি থেকে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন রোগিদের জীবন রক্ষার জন্য কাজ করছে।
ব্লাড ডোনার হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের সম্পাদক শাশ্বত পাড়ুই এর অভিযোগ, প্যাণ্ডমিক পরিস্থিতির সময় থেকেই রক্তদাতাদের রক্তদান করার পর রক্তদানের পর সুঁচ এর ক্ষত স্থান স্টিচের জন্য ব্যাণ্ড এইড ব্লাড ব্যাঙ্ক দিচ্ছে না। উলুবেড়িয়া ব্লাড ব্যাঙ্ক ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পে রক্তদাতাদের জন্য ব্যাণ্ড এইড আনে না। এ প্রসঙ্গে মেডিক্যাল অফিসারকে বললে তিনি জানিয়েছেন সরকারিভাবে ব্যাণ্ড এইড আসছে না। তাই শিবিরে ব্যাণ্ড এইড দেওয়া যাচ্ছে না। হাসপাতাল সুপারকে ফোন করে সমস্যার কথা জানানোর বারংবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এদিন ব্লাড ডোনার হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের পক্ষ থেকে বাগনানের শুভ ভবনে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশু ও মূমুর্ষ রোগিদের জন্য রক্তদান শিবির হয়। শিবিরে ২১ জন রক্তদাতা রক্তদান করেন। শিবিরের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অনুপ মঙ্গল, সমাজকর্মী চিত্ত মিশ্র, ব্লাড ডোনার হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের সম্পাদক শাশ্বত পাড়ুই, শতাব্দী বেরা প্রমুখ।