নিজস্ব সংবাদদাতা : একদিকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যখন ক্রমবিবর্ধমান, অন্যদিকে তখন আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি, ত্রাণ বিতরণে দুর্নীতির অভিযোগে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। তারই মাঝে একুশের বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে ময়দানে নেমে পড়েছে গেরুয়া শিবির। জনসংযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে গৃহসম্পর্ক অভিযানে গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যাচ্ছেন ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্যস্তরের নেতারা।
শনিবার দুপুরে উলুবেড়িয়ায় গৃহ সম্পর্ক অভিযানে অংশ নেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তিনি দলীয় কর্মীদের নিয়ে উলুবেড়িয়ার বাণীবন অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে মোদী সরকারের কর্মকান্ডের বার্তা তুলে ধরেন। কেন্দ্রীয় সরকারের বিগত বছরের সাফল্য সমন্বিত লিফলেট বিলি করেন এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে। পাশাপাশি, উলুবেড়িয়ায় হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপির প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাহুল সিনহা।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বিরোধী দলগুলো চেঁচামেচি শুরু করেছে। দীর্ঘ লকডাউনের জেরে তেল আমদানি বন্ধ রয়েছে। মজুত থাকা তেল দিয়েই কাজ চলছে। সেই কারণেই তেলের দাম বৃদ্ধি হয়েছে। তেলের দাম খোলা বাজারে রয়েছে। যখন তেলের দাম অনবরত কমছিল, তখন কোনো রাজনৈতিক দল প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাননি। তবে এখন কেন চিৎকার করছে। তেল আমদানি শুরু হলেই তেলের দাম কমতে শুরু করবে।”
বাগনান কান্ডে অভিযুক্তর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় কয়েকজন বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলায় কোনো মহিলা নিজের বাড়িতেও নিরাপদ নয়। সেটা যখন প্রমাণ হয়ে গেছে, তখন তা ধামাচাপা দিতে বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। এটা তৃনমূলের পুরোনো রোগ। এটা ওরা সিপিআইএমের কাছ থেকে পেয়েছে। কিন্তু, বিজেপির প্রতি মানুষের আস্থা আছে। এইসব মিথ্যা মামলা দিয়ে বিজেপির উপরে মানুষের যে আস্থা রয়েছে তা কোনোভাবেই কমানো যাবেনা।”
তিনি আরও বলেন, “এখানে জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। মহিলাদের কোনো নিরাপত্তা নেই, কারো জীবনের নিরাপত্তা নেই। সারা রাজ্য জুড়ে লুঠ চলছে। এতোদিন রেশনের চাল, গম লুঠ চলছিল, এখন আম্ফানের ত্রান লুঠ করছে। রাহুল সিনহার পাশাপাশি আজকের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন হাওড়া গ্রামীণ জেলার বিজেপি সভাপতি শিবশঙ্কর বেজ, সাধারণ সম্পাদক প্রত্যুষ মন্ডল সহ অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ।