নিজস্ব সংবাদদাতা : হাওড়ার জাহিরা খাতুন। আর পাঁচটা কিশোরীর থেকে একটু ভিন্ন। শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও বছর পনেরোর জাহিরা নিজ প্রতিভাগুণে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলার ফুটবল দলে। শুধু ফুটবল দলে অংশ নেওয়াই নয় দলের অধিনায়কত্বের গুরু দায়িত্বও নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে জাহিরা। এতেই থামেননি এই কিশোরী। ব্যাডমিন্টনে সিঙ্গেলসে রাজ্য চ্যাম্পিয়নের মুকুটটিও তার মাথায়। শুনতে আশ্চর্য মনে হলেও বাস্তবে করে দেখিয়েছেন এই কিশোরী।
জাহিরার মতোই শারীরিক প্রতিবন্ধকতার সাথে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে পুরুলিয়ার বাসন্তী কুমার। বছর ষোলোর বাসন্তী সমস্ত প্রতিবন্ধকতার বেড়াজালকে সগর্বে ছিন্ন করে এবার মাধ্যমিকে সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে। তার চোখ জুড়ে একরাশ স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন বড়ো হওয়ার, সেই স্বপ্ন ঘুরে দাঁড়ানোর। আর তাদের সেই স্বপ্নপূরণে সাথী হয়েছে উলুবেড়িয়ার আশা ভবন সেন্টার। আশা ভবন সেন্টারের দুই আবাসিক ছাত্রী জাহিরা খাতুন, বাসন্তী কুমারদের এহেন ব্যতিক্রমী লড়াইকে সম্মান জানাল রাজ্য সরকারের শিশু সুরক্ষা কমিশন।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিশু সুরক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে ‘বীরঙ্গণা পুরস্কার-২০২০’ শীর্ষক বিশেষ সম্মান তুলে দেওয়া হল এই দুই লড়াকু কিশোরীর হাতে। শিশু সুরক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে দুই কিশোরীর হাতে বিশেষ স্মারক ও মানপত্র তুলে দেওয়া হয়। আশা ভবন সেন্টারের ডিরেক্টর জন মেরি বাড়ুই বলেন,”জাহিরা ও বাসন্তী নিজেদের প্রতিবন্ধকতাকে দূরে ঠেলে যেভাবে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তা সত্যিই সমাজের বুকে দৃষ্টান্ত। তাদের এই সম্মানে আমরাও সম্মানিত এবং ভীষণভাবে গর্বিত।”