নিজস্ব সংবাদদাতা : আলোর উৎসবের মাঝেই চলে গেলেন আপামর বাঙালির প্রিয় ফেলুদা। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বঙ্গসাহিত্য ও সংস্কৃতি জগত। সৌমিত্র বাবুর বাবুর সাথে হাওড়ার আত্মিক যোগ। ছাত্রজীবনের একটা বড়ো অংশ হাওড়ায় কাটিয়েছিলেন হাওড়া জেলা স্কুলের এই কৃতি প্রাক্তনী। আদপে নদীয়ার কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা হলেও বাবার পেশা পরিবর্তনের জেরে হাওড়ায় চলে আসতে হয় সৌমিত্র বাবুকে।
জানা যায়, সৌমিত্র বাবুর বাবা মোহিত কুমার চট্টোপাধ্যায় ওকালতি পেশার সাথে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু, তিনি ওকালতি ছেড়ে রেলের বড়ো চাকরিতে যোগ দিলে সৌমিত্র বাবুকেও কৃষ্ণনগর থেকে হাওড়ায় চলে আসতে হয়। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় হাওড়া জেলা স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হন। এখান থেকেই ১৯৫২ সালে তিনি দশম শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তারপর সিটি কলেজে পড়াশোনা শুরু করেন এই বাঙালি কিংবদন্তি।
হাওড়া জেলা স্কুলে পড়ার সময় থেকেই সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতি তাঁর গভীর আকর্ষণ। মেধাবী হিসাবে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রিয় যেমন ছিলেন, তার পাশাপাশি খেলাধুলার মাধ্যমেও তিনি সেইসময় নিজের স্কুলকে খ্যাতি এনে দিয়েছিলেন। হাওড়া জেলা স্কুল জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে সৌমিত্র বাবুর অনেক জানা – অজানা স্মৃতি। আর সেইসব স্মৃতিকে রেখেই অগণিত ভক্তকে বিদায় জানিয়ে অমৃতলোকে যাত্রা করলেন আপামর বাঙালির প্রিয় ‘ক্ষিদ্দা’।