নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দের ইচ্ছায় বেলুড় মঠে শুরু হয়েছিল দুর্গাপুজো। মা সারদার নামে সংকল্প করে শুরু হওয়া ঐতিহ্যবাহী এই পুজোতেও এবার বাধ সাধল করোনা। বেলুড় মঠে এবার নিয়ম মেনে পুজো হলেও দর্শনার্থীদের জন্য পুজোয় সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ থাকতে চলেছে এই পুণ্যভূম। পুজো দেখতে এবার একমাত্র ভরসা ভার্চুয়াল মাধ্যম। মঙ্গলবার মঠ কর্তৃপক্ষ হাওড়া সিটি পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের একটি বৈঠক করেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, ২০০০ সালের পর আবারও মূল মন্দিরেই হবে দুর্গাপুজো।
উল্লেখ্য, অন্যান্য বছর মূল মন্দিরের পাশের মাঠে প্যান্ডেল বেঁধে পুজো হত। কিন্তু, এবার তা আর হবে না বলে জানা গেছে। জানা গেছে, এবার পুজোর আয়োজনে থাকবেন মঠের সন্ন্যাসী ও ব্রহ্মচারীরা। মূল গেটের পাশে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প বানানো হয়েছে। যদি কেউ পুজোর সামগ্রী দিতে চায় সেখানে গোটা ফল ও অন্যান্য পুজো সামগ্রী দেওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে।
চিরাচরিত রীতি মেনে এবারও অষ্টমী তিথিতে কুমারী পুজো অনুষ্ঠিত হবে। কুমারীর পরিবারের সদস্যরাই তাঁকে নিয়ে আসবেন। মূল মন্দিরের পশ্চিম দিকের বারান্দায় হবে কুমারী পুজো। তবে দূর্গাপুজো ও কুমারী পুজো দেখতে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের চোখ রাখতে হবে বেলুড় মঠের ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া, ইউটিউবে। এমনকি belurmath.tv তেও পুজোর সম্প্রচার দেখা যাবে। ভিড়ের এড়াতে মঠের বাইরে জায়ান্ট স্ক্রিনেও পুজোর সরাসরি সম্প্রচার করা হবে না বলেও জানিয়েছে বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ।