নিজস্ব সংবাদদাতা : একদিকে নদীর পাড়ে ভাঙন আর অন্যদিকে জলের তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেটি।দীর্ঘ প্রায় আড়াই মাস ধরে বন্ধ বাউরিয়া – বজবজ ফেরি পরিষেবা। নদী পাড়ে ভাঙন ও বন্ধ জেটি — এই দু’ই সমস্যার সমাধানে এবার উদ্যোগী হলেন উলুবেড়িয়া পূর্বের বিধায়ক ইদ্রিস আলি।
বর্ষার মাঝেই উলুবেড়িয়া পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ডের গৌড়ি খালের কাছে ভাঙন ধরেছে। যার জেরে খেলার মাঠ থেকে শ্মশান ও বেশ কয়েকটি মন্দির হুগলী নদীর গর্ভে তলিয়ে যাবার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্যদিকে, উলুবেড়িয়া পুরসভার ২৯ নং ওয়ার্ডের গঙ্গাতলার কাছে রাজাপুর ক্যানালের পাড়েও ধ্বস দেখা দিয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরেই এই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন স্থানীয় বিধায়ক।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে সাথে কথা বলার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি নিয়ে নতুন মহকুমাশাসকের সাথে অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে মঙ্গলবার বৈঠক করেন ইদ্রিস। ভাঙন মোকাবিলায় দ্রুত কাজ শুরু হওয়ার আশ্বাস মিলেছে বিধায়কের তরফে। মঙ্গলবার বিকালে এই বিষয়গুলি নিয়ে উলুবেড়িয়া মহকুমা শাসক অরন্য বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
ইদ্রিস আলি জানান, “ক্ষতিগ্রস্ত জেটি সারানোর বিষয়ে হুগলী নদী জলপথ পরিবহন নিগমের এক আধিকারিকের সাথে ফোনে কথা হয়েছে। ওই আধিকারিক জানিয়েছেন জুলাই মাসের মধ্যেই বাউরিয়ায় ভেঙে যাওয়া জেটি সারানো হয়ে যাবে।” বিধায়ক বলেন, “বাউরিয়া – বজবজ রুটে প্রতিদিন প্রায় কুড়ি হাজার মানুষ যাতাযাত করেন। প্রশাসন সূত্রে খবর এই জেটি ঘাট সারানোর জন্য টেন্ডার হয়ে গেছে। কাজ জুলাই মাসে শেষ হয়ে যাবার কথা।”
অন্যদিকে, উলুবেড়িয়া পৌরসভা এলাকায় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের তালিকা খতিয়ে দেখতে চারজনের বিশেষ টাস্কফোর্স তৈরি হয়েছে। এই টাস্ক ফোর্সে উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক ইদ্রিস আলী ছাড়াও রয়েছেন উলুবেড়িয়া মহকুমা শাসক অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায়, উলুবেড়িয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অনিমেষ রায় ও উলুবেড়িয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমান প্রশাসক অভয় দাস।