পৃথ্বীশরাজ কুন্তী : সময়টা ২০২০ সালের মার্চ মাসের শেষের দিক। কোভিড মোকাবিলায় হঠাৎ দেশজুড়ে লকডাউন। বন্ধ ট্রেন, বন্ধ গণপরিবহন। লাখো লাখো পরিযায়ী শ্রমিক হেঁটে চলেছেন। ভ্রষ্ট পথিকের মতোই তাঁরা পথ খুঁজে চলেছেন। ভুখা পেটে বাড়ি ফেরার আকুতি। অনেকেই রাস্তাতেই প্রাণ হারিয়েছেন। অনেকে কোনোরকমে বাড়ি ফিরলেও হারিয়েছেন কাজ। মাঝে কেটে গিয়েছে দেড়টা বছর। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ অতিক্রান্ত। এবার আশার পালা। ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া প্রচেষ্টা। প্রত্যয়ী পরিযায়ীরা তাইতো আবার নিজ নিজ কর্মস্থলে পেটের তাগিদে পা বাড়াচ্ছেন। নিজস্ব সংবাদদাতা : রাত পোহালেই মাতৃপক্ষের সূচনা। তার কয়েক ঘন্টা আগেই শ্যামপুরে উদ্ধার সদ্যোজাত শিশুকন্যা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শ্যামপুরের পুরলুপাড়া এলাকায়। বিস্তারিত জানতে নীচে পড়ুন…
এবার দুর্গাপুজোয় এই ভাবনাকেই তুলে ধরেছে গ্রামীণ হাওড়ার বাগনান-১ ব্লকের হারোপ জাতীয় পাঠাগার। ৭৯ তম বর্ষে হারোপ জাতীয় পাঠাগার ও হারোপ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি এন্ড পাঠাগারের ভাবনা ‘প্রত্যাশি পরিযায়ী’। একের পর এক নিম্নচাপের জাঁতাকলে প্রস্তুতিতে বেশ কিছুটা ব্যাঘাত ঘটলেও শেষ বেলায় জোরকদমে কাজ চলছে। হারোপ গ্রামেরই শিল্পী উত্তম খাটুয়া তাঁর শৈল্পিক ভাবনায় ফুটিয়ে তুলছেন এই থিমকে। ভাবনার বাস্তবায়নে ব্যবহার করা হচ্ছে ভাঙা সাইকেল, টায়ার, কাপড়, ছেঁড়া চট, বাঁশ সহ সামগ্রী।
আমতার ভান্ডারগাছার প্রসিদ্ধ মৃৎশিল্পী জগদীশ পালের তৈরি মাতৃমূর্তিতেও রয়েছে পরিযায়ীর ছাপ। আটপৌরে শাড়িতে মা কোলে সন্তান নিয়ে এগিয়ে চলেছেন। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এবার তাদের বাজেট প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। পুজো কমিটির অন্যতম কর্তা পার্থ চ্যাটার্জী জানান, আমরা বেশ কয়েকবছর ধরেই বিভিন্ন ভাবনাকে শৈল্পিক দক্ষতার মাধ্যমে তুলে ধরছি। এবার আমাদের ভাবনা ‘প্রত্যাশি পরিযায়ী’। মা’য়ের আগমনে আলো জ্বলুক ঘরে ঘরে। দূর হোক করোনা। মাতৃশক্তির আশীর্বাদে আবারও আশার আলো দেখুক দেশের অজস্র পরিযায়ী শ্রমিক। তিনি জানান, এবার পুজোর বাজেট বেশ কিছুটা কাঁটছাট করে একাধিক সামাজিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের ১৫১ জন প্রান্তিক শিশুকে নতুন জামা দেওয়া হবে।
পাশাপাশি, সংগঠনেরই এক সদস্যের চিকিৎসাতেও আর্থিক সহযোগিতা করা হবে। পুজোয় নিম্নচাপের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। তাই পুজো কমিটির কর্তা সমরেশ মজুমদার, সুবীর ঘোষালদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। পুজো কমিটির সভাপতি সুবীর ঘোষালের কথায়, কোভিড বিধি মেনেই আমরা সমস্ত কিছুর আয়োজন করেছি। থাকবে পর্যাপ্ত মাস্ক। প্রত্যেকদিন নিয়মিত স্যানিটাইজেশন করা হবে। পাশাপাশি, বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।