নিজস্ব সংবাদদাতা : প্রতিবারের মতো এবারও হস্তশিল্পের মাধ্যমে নিজেদের মন্ডপকে সাজিয়ে তুলেছেন উলুবেড়িয়ার আশা ভবন সেন্টারের আবাসিকরা। এবার তাদের ভান্ডার ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’। তাদের এই পুজোকে বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান সেরার সেরা পুজো-২০২১ এ সম্মানিত করল হাওড়া জেলা প্রশাসন। সোমবার আশা ভবন সেন্টার কর্তৃপক্ষের হাতে এই সম্মান তুলে দেন হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য। উল্লেখ্য, আশা ভবন সেন্টারে এবার শৈল্পিক ভাবনায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’কে। শনিবার চতুর্থীর সন্ধ্যায় সেই পুজোর সূচনা করেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায়। পুজোর আমন্ত্রণ পত্র থেকে মন্ডপ সব জায়গাতেই রয়েছে থিমের ছোঁয়া। বিস্তারিত জানতে নীচে পড়ুন…
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আশা ভবন সেন্টার দীর্ঘদিন ধরে বিশেষভাবে সক্ষমদের নিয়ে কাজ করে চলেছে। এখানকার আবাসিকরাই নিজেরা নিজেদের শৈল্পিক ভাবনাকে বিভিন্নভাবে ফুটিয়ে তোলেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আশা ভবন সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, এবার কাঠের তৈরি ছোটো সুদৃশ্য গাছ কৌটের মাধ্যমে আমন্ত্রণপত্র বানানো হয়েছে। যাতে রয়েছে আবাসিকদের হাতে আঁকা দুর্গার মুখের ছবি।
পাইন কাঠকে সাইজ করে কেটে তৈরি হয়েছে গাছ কৌটো। শুধু গাছ কৌটো নয়, মন্ডপ সাজাতে মন্টু, সাবিনারা তৈরি করেছেন প্রকান্ড সাইজের একটি পেঁচা। তৈরি করা হয়েছ অজস্র লক্ষীর ভাঁড়। যা দিয়ে সমগ্র মন্ডপ সাজিয়ে তোলা হয়েছে। গোটা মন্ডপ তৈরি হয়েছে লক্ষীর ভাঁড়ের আদলে। আশা ভবন সেন্টারের ডিরেক্টর, আবাসিকদের হাতে তৈরি তিন ফুট লম্বা একটি গাছ লক্ষীর ভাঁড় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপহার হিসেবে পাঠানো হবে। এবার তাদের এই ভাবনা ও আয়োজন জেলার সেরার সেরা পুজো হিসাবে নির্বাচিত হল।