নিজস্ব সংবাদদাতা : চলতি বছরের এপ্রিল মাসে পুকুর খনন করতে গিয়ে বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার হয়েছিল গ্রামীণ হাওড়ার বাগনান-১ ব্লকের ওলানপাড়া শিবতলা এলাকায়। শুক্রবার সকালে সেই বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করতে আসে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভ অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা। আর তা ঘিরেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ওলানপাড়া শিবতলা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৬ ই এপ্রিল বাগনান থানার ওলানপাড়া শিবতলা এলাকায় পুকুর খনন করতে গিয়ে একটি বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার হয়৷ কিছুদিন ধরে সেই মূর্তি দেখতে ভিড় জমাচ্ছিলেন বহু মানুষ। এমনকি মূর্তিটিকে প্রতিষ্ঠা করতে শিবতলা এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছিল মন্দিরও৷ জানা গেছে, পুকুর থেকে মূর্তি উদ্ধার হওয়ার পর বিষয়টি স্থানীয় বাগনান থানায় জানানো হয়েছিল। বাগনান থানার পক্ষ থেকে বিষয়টি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে জানানো হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আর্কোলজিক্যাল সার্ভ অব ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ হাওড়া জেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে ওই মূর্তি উদ্ধার করে তাদের হাতে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। বিস্তারিত জানতে নীচে পড়ুন…
আর্কিওলজিক্যাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই চিঠি পাওয়ার পরই মূর্তি উদ্ধারের জন্য তৎপর হয় হাওড়া জেলা প্রশাসন। শুক্রবার মূর্তি উদ্ধারে আসেন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের প্রতিনিধিরা। উলুবেড়িয়ার এসডিপিওর নেতৃত্বে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাস্থলে আসেন এলাকার বিধায়ক অরুণাভ সেন সহ বাগনান-১ ব্লকের প্রশাসনিক আধিকারিকরা। অন্যদিকে, এদিন সকাল থেকেই ওলানপাড়া শিবতলা এলাকায় ছিল গ্রামবাসীদের ভিড়। তাদের বক্তব্য ছিল, কোনোভাবেই মূর্তি হস্তান্তর করা যাবে না। পুলিশ এলে উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকে। কোনোভাবেই মূর্তি দেওয়া যাবেনা, এই দাবি তোলেন এলাকার মানুষ। এরই মাঝে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মন্দিরের ভেতর থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়। এলাকার বিধায়ক অরুণাভ সেন বলেন, ওলানপাড়া এলাকায় মূর্তিটি উদ্ধার হয়েছিল। মূর্তিটির সাথে স্থানীয় গ্রামের মানুষের আবেগ জড়িয়ে। সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তবটাও বুঝতে হবে। যেকোনো প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রী উদ্ধার হলে তা আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার হয়। তিনি আরও জানান, এই মূর্তি এই এলাকার গর্ব। তার সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ হবে। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার মিউজিয়ামে গেলে আগামী দিনে মানুষ তা দেখতে পাবেন।