নিজস্ব সংবাদদাতা : অভিনব কায়দায় প্রতারণার শিকার হলেন ইমারতি ব্যবসায়ী। টাকা না দিয়ে রড নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ১৬ নং জাতীয় সড়ক সংলগ্ন রাজাপুর থানার খলিশানী কালীতলা এলাকায়। জানা গেছে, গ্রামীণ হাওড়ার উলুবেড়িয়ার কুলগাছিয়ায় ইমারতি সামগ্রীর দোকান রয়েছে শুভঙ্কর মাইতি ও তার ভাই শুভময় মাইতির। অভিযোগ, শুক্রবার সকাল দশটা নাগাদ শুভময়ের কাছে একটি ফোন আসে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে শুভময়কে এক ব্যক্তি জানান, তিনি রাজাপুর থানার খলিশানী কালীতলার একটি নামী মার্বেল দোকান থেকে বলছেন। ওই মার্বেল দোকানের ঠিকানায় বারোশো কিলো টিএমটি রড পাঠানোর কথা বলা হয়। মাল নিয়ে ভ্যান চালকের হাতে টাকা পাঠিয়ে দেবেন বলে জানান ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তিটি। বিস্তারিত জানতে নীচে পড়ুন...
অর্ডার পেয়েই শুক্রবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ রাজু বাগ নামক এক ব্যক্তির ইঞ্জিন ভ্যানে বারোশো কিলো রড খলিশানী কালীতলার উদ্দেশ্যে পাঠান ব্যবসায়ী। যার বাজারমূল্য প্রায় একলক্ষ টাকা। ব্যবসায়ীর অভিযোগ, দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ ইঞ্জিন ভ্যানে মাল নিয়ে ১৬ নং জাতীয় সড়কের ধারে ওই মার্বেল দোকানের সামনে পৌঁছে যান রাজু বাগ। তার উদ্দেশ্যে এগিয়ে আসে এক ব্যক্তি। ইঞ্জিন ভ্যানকে হাত দেখিয়ে দাঁড় করান ব্যক্তিটি। সেই ব্যক্তিই নিজেকে ওই দোকানের কর্মী বলে পরিচয় দেয়। তারপর আরেকটি ইঞ্জিন ভ্যানে রাজু বাগকে মালটি লোড করার কথা বলে ওই ব্যক্তি। সেই মোতাবেক ইঞ্জিন ভ্যান থেকে অন্য ইঞ্জিন ভ্যানে মালটি লোড করে। শুভময়ের অভিযোগ, এই ফাঁকে রাজুর অলক্ষ্যে কুলগাছিয়া থেকে মাল নিয়ে যাওয়া ইঞ্জিন ভ্যানটিতে পাংচার করে দেয় ওই ব্যক্তি। তারপর রাজুকে পাশের একটি দোকান সারাতে বলে ওই ব্যক্তি। শুভময়ের কথায়,”তখন রাজুকে ওই ব্যক্তিটি জানায় তুমি ভ্যান সারাও, আমি তোমার পেমেন্ট দিচ্ছি।” অভিযোগ, তারপরই হদিস হয়ে যায় ওই ব্যক্তি সহ রড বোঝাই অন্য ইঞ্জিন ভ্যানটি। রাজু দীর্ঘক্ষণ পেমেন্টের অপেক্ষা করলেও আর দেখা মেলেনি ওই ব্যক্তিটির। তারপরই তিনি বিষয়টি শুভময়কে জানান। ফোন পেয়েই শুভময় সঙ্গে সঙ্গে বাইক নিয়ে ওই এলাকায় ছুটে যান। কিন্তু তিনি জানতে পারেন, ওইদিন ওই মার্বেল দোকানটি বন্ধ রয়েছে। মার্বেল দোকানটির তরফে কোনোরূপ অর্ডারও দেওয়া হয়নি তাদের কাছে। শুভময় বুঝে যান তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। শুভময় জানিয়েছেন, তার কাছে যে নাম্বার থেকে ফোন এসেছিল সেই নাম্বারে বারবার ফোন করা হলে সেটি বন্ধ রয়েছে। তারপরই শনিবার রাজাপুর থানায় গিয়ে বিষয়টি নিয়ে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই ওই মার্বেল দোকানটির সিসিটিভি ফুটেজ থানায় জমা দিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী।