নিজস্ব সংবাদদাতা : কয়েক মাস আগের কথা। বিশ্বজুড়ে তখন ত্রাহিত্রাহি রব। রাশিয়া-ইউক্রেন সম্মুখ সমরে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন ছেড়ে অনেকেই পাড়ি দিয়েছিলেন দেশের উদ্দেশ্যে। তাদের মধ্যে একজন গ্রামীণ হাওড়ার আমতা-২ ব্লকের নোরিট গ্রামের সেখ মিখাইল আলম। কার্যত প্রাণ হাতে নিয়ে বহু ছাত্রছাত্রীর মতোই বাড়ি ফিরতে হয়েছিল ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে যাওয়া মিখাইলকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফের ইউক্রেনের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিলেন মিখাইল। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মিখাইল ইউক্রেনের ইভানো শহরের ফ্র্যাঙ্ককিসভ ন্যাশানাল ইউনির্ভাসিটিতে এমবিবিএস পড়তে যায়। তবে গত বছর কোভিডের কারণে দেশে ফিরে আসে। তবে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে ২০২১ সালের আগস্টে ফের ইউক্রেনে পাড়ি দেয়। ভালোই চলছিল ডাক্তারির পঠনপাঠন। হঠাৎই বাধ সাধে যুদ্ধ। ইউক্রেন জুড়ে যুদ্ধের দামামা বেজে ওঠে। মুহুর্মুহু মিসাইল, যুদ্ধ বিমান, সাইরেনে, প্রাণ বাঁচানোর আর্তি। বিস্তারিত জানতে নীচে পড়ুন…
গত মার্চ মাসে প্রাণ বাঁচাতে কোনো রকমে ইউক্রেন থেকে রোমানিয়া সীমান্ত হয়ে দেশে ফেরে মিখাইল। এমবিবিএসের কোর্সের বাকি পড়াটা নিয়ে কার্যত অনিশ্চয়তা শুরু হয়। মিখাইল জানিয়েছেন, সরকার ইউক্রেন ফেরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিল। সেই মোতাবেক শুরু হয় প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস। কিন্তু শংসাপত্র না পাওয়ায় ভারতে ডাক্তারি পড়ার আশা কার্যত নিভে। বাধ্য হয়ে ডাক্তারি পড়া শেষ করতে ফের যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নোরিটের মিখাইল। সেই মোতাবেক বৃহস্পতিবার ফের ইউক্রেনের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিলেন এই ডাক্তারি পড়ুয়া। জানা গেছে, তিনি ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলে পাড়ি দিচ্ছেন। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। অপেক্ষাকৃত পশ্চিমাঞ্চলের পরিস্থিতি স্থিতিশীল। যদিও ছেলের বিদেশ যাত্রায় মন খারাপ পরিবারের সদস্যদের। তাদের কথায়, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে পাড়ি দিচ্ছে ছেলে, দুশ্চিন্তা তো থাকবেই! তবু ডাক্তারি পড়া শেষ করতে যে ইউক্রেনে যেতেই হবে মিখাইলকে।