পৃথ্বীশরাজ কুন্তী : মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরই বাঙালি মেতে উঠবে সরস্বতী পুজোয়। সরস্বতী পুজো মানেই বাঙালির ভ্যালেনটাইন ডে, সরস্বতী পুজো মানেই বসন্তের স্পর্শে গা ভাসানো। বাঙালির প্রাণের সরস্বতী পুজোকে আরও মধুময় করে তুলতে গান গাইলেন গ্রামীণ হাওড়ার আমতার কন্যা তথা বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী মহুয়া ব্যানার্জী। শুক্রবারই প্রখ্যাত সুরসাধক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় ও সুরে মহুয়ার কন্ঠে সারস্বত আরাধনায় তাঁর সঙ্গীতাঞ্জলী ‘জাগো কমলাসনা’ মুক্তি পেয়েছে। ইতিমধ্যেই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বেশ সাড়া ফেলেছে সরস্বতী পুজো উপলক্ষ্যে মহুয়ার গাওয়া এই গান।
শিল্পী মহুয়া ব্যানার্জীর কথায়, “বেশ কয়েকবছর ধরেই বিভিন্ন নতুন গান গাই। তবে এবার সরস্বতী পুজোয় নবীন প্রজন্মকে একটু ভিন্নভাবে একটা উপহার দেওয়ার চেষ্টা করলাম। তাই আমার পরম শ্রদ্ধেয় সঙ্গীত গুরু বিমান মুখোপাধ্যায়ের সুরে ও তাপস দত্ত মার্কোর আয়োজনে এবারের এই উপস্থাপন।” আমতা রামসদয় কলেজের এই প্রাক্তনী জানান,”বিমান বাবুর কাছে আমার বেশ কিছুদিন সংগীতশিক্ষা গ্রহণ করার সৌভাগ্য হয়েছিল। ওঁনার থেকেই প্রথম আমার এই গান শেখা।”
বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই পুজোয় নিজের গানের ডালি নিয়ে আমেরিকায় পাড়ি দেন মহুয়া। এবারও তাঁর সেই প্রস্তুতি সাড়া হয়ে গিয়েছিল। ভিসাও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু করোনার জেরে তা বাতিল হয়। তাই একটা আক্ষেপ রয়ে গিয়েছিল। সেই আক্ষেপ তাঁর এই ‘জাগো কমলাসনা’র মধ্যে দিয়ে বেশ কিছুটা মিটবে বলে আশাবাদী এই সঙ্গীত শিল্পী।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গ্রামীণ হাওড়ার আমতার মেয়ে মহুয়া। আমতায় পড়াশোনা, সেখানেই বড় হয়ে ওঠা। মা’য়ের কাছেই সঙ্গীত সাধনায় হাতেখড়ি। তারপর নিজ প্রতিভা ও নিরলস সাধনাকে পাথেয় করে শিল্পী হিসাবে সমাজের বুকে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। প্রতিবছরই নতুন নতুন গান বাঁধেন এই শিল্পী। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এভাবেই নিজের সুরের ভেলায় ভেসে সৃজনশীল সত্ত্বাকে পাথেয় করে আগামীর পথে এগিয়ে যেতে চান মহুয়া।