নিজস্ব সংবাদদাতা : চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী, বাঁশবেড়িয়ার কার্ত্তিক, বারাসাতের কালীপুজোর মতোই বাংলাজুড়ে খালনার লক্ষ্মীপুজোর নাম। গ্রামীণ হাওড়ার আমতা-২ ব্লকের খালনা গ্রামে প্রতিবছর কয়েকশো পুজো অনুষ্ঠিত হয়। বারোয়ারি, ক্লাবের পাশাপাশি বাড়িতেও পুজো অনুষ্ঠিত হয়। এবার পুজোগুলোকে এক ছাতার তলায় আনতে উদ্যোগী হল আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতি। পুজোর অনুমতি সহ বিভিন্ন কাজের সুবিধার্থে ‘ওয়ান উইন্ডো’ পদ্ধতি চালু করল আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতি।
বুধবার জয়পুরে আমতা-২ ব্লকের কার্যালয় থেকে একসাথে পুজো কমিটিগুলিকে অনুমতি দেওয়া হয়। জানা গেছে, অন্যান্যবার পুজো কমিটিগুলিকে পৃথক জায়গা থেকে অগ্নিনির্বাপণ, পুলিশ, দূষণ সহ বিভিন্ন অনুমতি নিতে হত। এর ফলে সময় যেমন বেশি লাগত তেমনই বিভিন্ন সমস্যারও সম্মুখীন হতে হত পুজো উদ্যোক্তা। তবে এবার ব্লক অফিস থেকেই খালনার পুজো কমিটিগুলিকে বিভিন্ন দপ্তরের পক্ষ থেকে অনুমতিপত্র দেওয়া।
এদিন পুজো কমিটির কর্তাদের হাতে অনুমতিপত্র তুলে দেন আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত কুমার পাল, আমতা-২ ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক আসিফ ইকবাল, আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি দেলুয়ার হোসেন মিদ্দ্যা সহ অন্যান্যরা। সুকান্ত কুমার পাল বলেন, “খালনা গ্রামের লক্ষ্মীপুজো বাংলার অন্যতম ঐতিহ্য। করোনা আবহে দাঁড়িয়ে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বিভিন্ন দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট মাধ্যমে সহজ-সরল ব্যবস্থা করেছেন। লক্ষ্মীপুজোর অনুমতির ক্ষেত্রে পুজোর উদ্যোক্তাদের সুবিধার্থে আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে এই বিশেষ ব্যবস্থা চালু করা হল।” এই ব্যবস্থায় খুশি পুজোর উদ্যোক্তারাও।