হাওড়া গ্রামীনে আছড়ে পড়তে চলেছে আম্ফান, বিপর্যয় মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ প্রশাসনের

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

নিজস্ব সংবাদদাতা : অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ আর কিছুক্ষণের মধ্যেই স্থলভাগে আছড়ে পড়তে চলেছে। এর প্রভাবে গতকাল রাত থেকেই হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সাথে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। আম্ফান মোকাবিলায় সতর্ক প্রশাসন।

উলুবেড়িয়া মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। গতকাল থেকেই বিভিন্ন ব্লকে প্রতিনিয়ত সচেতনতার প্রচার চালানো হচ্ছে। শ্যামপুর, গাদিয়াড়া, আমতা, বাগনান, উদয়নারায়ণপুর, হীরাপুর, উলুবেড়িয়া সহ গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষকে সতর্ক করার কাজ চালাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।

জানা গেছে, উলুবেড়িয়া মহকুমার বিভিন্ন ব্লকের যে সমস্ত মানুষ কাঁচা ঘরে বাস করেন তাদের মধ্যে প্রায় ৮-১০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে। গতকালই জেলাশাসক মুক্তা আর্য বিভিন্ন ব্লকের প্রশাসনিক আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে উলুবেড়িয়ায় জরুরি বৈঠক করেন।

চালু করা হয়েছে দু’টি হেল্পলাইন নাম্বার। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই উলুবেড়িয়া মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় এনডিআরএফ ও এসডিআরএফের সদস্যরা পৌঁছে গেছেন। প্রশাসনের তরফে মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি শুকনো খাবার ও পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দুর্যোগ মোকাবিলায় সজাগ থাকতে বলা হয়েছে বিদ্যুৎ দফতরের লোকজনকেও। ঝড়ে গাছ পড়লে সেই গাছ ঝড়ের পরই যাতে দ্রুত সরিয়ে ফেলা যায় তার জন্য বিশেষ কর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, এইমুহূর্তে হুগলী ও রূপনারায়ণ নদীতে মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

পাশাপাশি, নৌকাগুলিকে ঝড়ের হাত থেকে রক্ষা করতে ডাঙায় তুলে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। শ্যামপুর, বাগনান, উলুবেড়িয়া সহ নদীতীরবর্তী বিভিন্ন অঞ্চলের উপর নিয়মিত নজর রাখা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে।