নিজস্ব সংবাদদাতা : দীর্ঘ লকডাউনের জেরে দূষণের পরিমাণ একধাক্কায় অনেকটা কমায় কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছিল পশু, পাখিরা। কয়েকটি বিশেষ ঘটনা ছাড়া মোটামুটি মুক্ত জীবনযাপন করছিল তারা। সেই মুক্ত জীবনে এবার বাধ সাধতে চলেছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় আমফান। আম্ফানের প্রভাবে পাখি সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণীদের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা।
আম্ফানের জেরে প্রচুর পরিমাণ বড়ো গাছ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা যেমন করা হচ্ছে তেমনই ভেঙে পড়তে পারে বহু পুরানো বাড়ি। যার ফলে অসংখ্য পাখির বাসা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন পরিবেশপ্রেমীরা। এমনকি বাসা থেকে পড়ে বাচ্ছাপাখি সহ পূর্ণবয়স্ক পাখিদের মৃত্যুর সম্ভাবনাও থাকছে। এবিষয়ে বিশিষ্ট পরিবেশবিদ সৌরভ দোয়ারী বলেন, “অতীতে দেখা গেছে আয়লা, ফণীর মতো ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে হাওড়া সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্যাপকহারে পাখিদের মৃত্যু ঘটেছে। বহুপরিমাণ পাখিকে বাস্তুহারাও হতে হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “সবচেয়ে চিন্তার বিষয় আমাদের জেলায় যেখানে যেখানে পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে বাসা বেঁধে থাকে সেই সব এলাকা যেমন বাগনান স্টেশন সংলগ্ন এলাকা, গাববেড়িয়া হাসপাতাল চত্বর, আমতার কুশবেড়িয়া অঞ্চলের রাস্তার ধার প্রভৃতি এলাকায় পূর্বেও সামান্য ঝড়ে পাখিদের ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখা গেছে। তবে শুধু পাখি নয় এরকম বৃহৎ ঝড়ে অন্যান্য বন্যপ্রাণী যেমন কাঠবিড়ালি, ভাম সহ গাছে বা উঁচু জায়গায় বসবাস কারীদের বিপদের আশঙ্কা পরিলক্ষিত হচ্ছে।” ইতিমধ্যে পিঁপড়ে সহ বেশ কিছু পতঙ্গদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে দেখা যাচ্ছে। সৌরভ বাবুর মতো পরিবেশপ্রেমীরা চান এই বিপর্যয়ে পশু – পাখিদের স্বার্থে প্রশাসনের পাশাপাশি এগিয়ে আসুক বিভিন্ন পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ও পরিবেশসচেতন নাগরিক।