নিজস্ব সংবাদদাতা : দশ টাকা বা ক্যাডবেরি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বিপজ্জনক কার্নিশ বেয়ে খুদে পড়ুয়াদের স্কুলের ছাদে তুলে ছাদ পরিষ্কার করানোর অভিযোগ উঠল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গ্রামীণ হাওড়ার পাঁচলার মল্লিকবাগান বি কে পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, সোমবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভোলানাথ কাঁড়ার কয়েকজন ছাত্রকে ডেকে ছাদ পরিষ্কার করার কথা বলেন। অভিযোগ, ছাদ পরিষ্কার করলে দশ টাকা বা ক্যাডবেরি দেওয়ার প্রলোভন দেখান প্রধান শিক্ষক। সেই মোতাবেক মঙ্গলবার সকালে পঞ্চম শ্রেণীর কয়েকজন ছাত্র স্কুলের পিছনের দেওয়ালের কার্নিশ বেয়ে ছাদে ওঠে। পাশাপাশি, নীচ থেকে কয়েকজন ছাত্রী জল তুলে দিয়ে একাজে সহযোগিতা করে বলেও অভিযোগ। এঘটনা নজরে আসতেই স্থানীয় এলাকায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। মৌসুমি দাস নামের এক অভিভাবকের অভিযোগ, স্কুলে যাওয়ার জন্য ছেলেকে খুঁজতে গেলে জানতে পারি স্কুলের বিপজ্জনক কার্নিশ বেয়ে ছাদে উঠে ছাদ পরিষ্কার করছে। বিস্তারিত জানতে নীচে পড়ুন...
তাঁর অভিযোগ, দশ টাকার লোভ দেখিয়ে একাজ করানো হয়েছে। অপর্ণা খাঁ’য়ের অভিযোগ, তাঁর ছেলেকে লোভ দেখিয়ে বিদ্যালয়ের ছাদে তোলা হয়েছে। তাঁর কথায়,”যদি ওপর থেকে পড়ে যেত তাহলে আমার ছেলেটার কী হত।” জানা গেছে, যে ছাদে পড়ুয়ারা পরিষ্কার করতে উঠেছিল সেখানে কোনো সিঁড়ি নেই। বিল্ডিংয়ের দেওয়ালের গায়ে বেড়িয়ে থাকা ইটের সামান্য অংশকে সম্বল করেই ছাদে উঠেছে ছাত্ররা। একদিকে বর্ষায় পিচ্ছিল ইট, অন্যদিকে দেওয়ালের গায়ে বেরিয়ে থাকা বিপজ্জনক লোহার রড — যেকোনো সময় ঘটতে পারত বড়সড় দুর্ঘটনা।
এবিষয়ে হাওড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ ঘোষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদককে জানান, “আমার কাছে রিপোর্ট এসছে, সকাল দশটার আগে কিছু ছেলে আছে যারা স্কুলেও পড়েনা তারা ছাদে উঠে খেলছিল। এবিষয়ে স্কুল কোনোভাবে যুক্ত নয়।” যদিও মল্লিকবাগান বি.কে পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর এক পড়ুয়ার অভিযোগ,”আমাদের এসে হেডস্যার জিজ্ঞাসা করেছিল কে কে উঠতে পারিস। আমরা বলেছিলাম আমরা উঠতে পারি। স্যার আমাদের দশ টাকা দেওয়ার অথবা ক্যাডবেরি দেওয়ার কথা বলেছিলেন। সেই মতোই দেওয়ালের গা বেয়ে উপরে উঠেছিলাম।” আবার এক ছাত্রীর অভিযোগ,”আমরা নীচে থেকে জল তুলে দিচ্ছিলাম। আমাদের ঝাঁটাও দিয়েছিল। ওই নিয়েই আমাদের কয়েকজন বন্ধু উপরে উঠেছিল।”