নিজস্ব সংবাদদাতা : আম্ফানের তান্ডবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রামীণ হাওড়ার শ্যামপুর-১ ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ভেঙেছে অসংখ্য গাছ, কাঁচাবাড়ি, বিদ্যুতের খুঁটি। আম্ফান বিধ্বস্ত এই সমস্ত এলাকা ঘুরে দেখলেন বিধানসভার পরিষদীয় দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী।
জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ তাঁরা শ’খানেক দলীয় কর্মীকে নিয়ে শ্যামপুর থানার বারগ্রাম এলাকা ঘুরে দেখেন। তাঁদের সাথে ছিলেন আমতার কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্র, কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা। বারগ্রাম থেকে তাঁরা চলে যান জোয়ারকোল গ্রামে।
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্ত পোল্ট্রিফার্মও পরিদর্শন করেন কংগ্রেস ও সিপিআইএমের দু’ই নেতা। তারপর তাঁরা শিবগঞ্জ ও গাদিয়াড়া সহ বেশ কিছু এলাকা পরিদর্শন করেন। বারগ্রামের বেশ কিছু ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ সাহায্যের দাবিতে আব্দুল মান্নানের হাতে আবেদনপত্র তুলে দেন।
আব্দুল মান্নান জানান, “বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব।” তিনি আরও বলেন, “এতো বড়ো বিপর্যয় ঘটে যাওয়ার পরও প্রশাসন নির্বিকার।”
তিনি আরও বলেন, “এটাকে আমরা জাতীয় বিপর্যয় হিসাবে ঘোষণা করার দাবি জানাচ্ছি। রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এলে তাদের কাছে আমরা এই দাবি রাখব। কিন্তু, স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টিকে উপেক্ষা করছে। এতো ক্ষয়ক্ষতির পরও কোনো পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়নি। ক্ষতিগ্রস্তদেরও কোনোরূপ সাহায্য মেলেনি।”
যাদপুরের বিধায়ক তথা বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “ঝড়ের আগাম পূর্বাভাস থাকলেও কীভাবে এতো দূর্গতি হল। বহু ঘরবাড়ি, বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। অথচ ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েত কোনো কাজ করছেনা। আসলে এতো কাটমানি আর লুঠ হলে যা হয় সেই সর্বনাশই হয়েছে।” এই বর্ষীয়ান বাম নেতা আরও জানান, “এখন সরকারের উচিৎ দলমত নির্বিশেষে সবার পাশে দাঁড়ানো। এটাই আমাদের একমাত্র দাবি।”