নিজস্ব সংবাদদাতা : আম্ফানের তান্ডবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল গ্রামীণ হাওড়ার শ্যামপুর-১ ও শ্যামপুর-২ ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।
আম্ফানের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত শ্যামপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী।
তাঁদের সেদিনের কর্মসূচির পরই কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের দুই সমর্থককে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে।
সোমবার শ্যামপুর থানার বাড়গড়চুমুক ও হোগলাসিতে আক্রান্ত সেই দু’ই সমর্থকের বাড়িতে গিয়ে দেখা করলেন আব্দুল মান্নান ও সুজন চক্রবর্তী।
পাশাপাশি, এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁরা শ্যামপুর থানায় ডেপুটেশন ৯জমা দেন।
ডেপুটেশন জমা দেওয়ার পর তাঁরা বলেন, “আমাদের দলীয় কর্মীরা মার খাচ্ছে, আবার তাদের বিরুদ্ধেই প্রশাসন জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করছে। অথচ প্রকৃত দোষীদের ক্ষেত্রে জামিন যোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হচ্ছে। এইভাবে চলতে থাকলে আগামীদিনে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।”
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, “গুন্ডা নেতাদের কি ভাবে ধ্বংস করতে হয় তা জানা আছে। আইন মেনেই গন বিক্ষোভ শুরু হবে।”
তিনি আরও জানান, “শ্যামপুর থানার আধিকারিক আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা কয়েকদিন দেখবো, তারপরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”