নিজস্ব সংবাদদাতা : দীর্ঘ লকডাউনের করাল থাবায় ইতিমধ্যেই ভাঁড়ার শূন্য হয়েছে বহু দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের। একমুঠো অন্ন সংস্থান করতেই নাজেহাল অবস্থা এই নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির। এই দুঃসময়ে দাঁড়িয়ে আধপেটা অবস্থায় যখন দিন কাটছে আরতী, কাজলী, গীতা, ঝর্ণাদের । তখন তাঁদের স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনার ভাবনা মাথায় আসেনা। ইচ্ছে থাকলেও যে উপায় নেই। এরকমই সংকটময় পরিস্থিতিতে তাঁদের হাতে স্যানিটারি ন্যাপকিন তুলে দিল আমতার এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।
সংগঠনটি সূত্রে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকালে গ্রামীণ হাওড়ার উলুবেড়িয়া-২ ব্লকের অভিরামপুর খালপাড় সংলগ্ন ৩০ টি প্রান্তিক পরিবারের প্রায় ৪৫ জন মহিলার হাতে স্যানিটারি ন্যাপকিন তুলে দেন সংস্থাটির সদস্যরা। রাজাপুর থানার এই কলোনীর বাসিন্দা ঝর্ণা ঘোড়ুইয়ের কথায়, “পিরিয়ডের সময় আমরা আগে কাপড় ব্যবহার করতাম। কিন্তু, আশা দিদিরা নিয়মিত বাড়িতে এসে আমাদের সচেতন করার ফলে আমরা ন্যাপকিন ব্যবহার করা শুরু। কিন্তু, যখন একমুঠো ভাত জোটেনা তখন কীভাবে ন্যাপকিন কিনি বলুনতো!”
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির কর্তা অরুণ খাঁ জানান, “স্যানিটারি ন্যাপকিন সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে লাগাতার প্রচার আমরা চালাই। কিন্তু, এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ন্যাপকিন কেনা এই সমস্ত মহিলাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই অনেকেই পিরিয়ডের সময় পুরানো কাপড় ব্যবহার করছেন যা অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই আমাদের পক্ষ থেকে গ্রামীণ হাওড়ার শতাধিক প্রান্তিক মহিলার কাছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ন্যাপকিন পৌঁছে দেওয়ার এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।” ন্যাপকিনের সাথে সাথে তুলে দেওয়া হচ্ছে চাল, ডাল, আলু, তেল, সোয়াবিন,ডিমের মতো বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদিখানা সামগ্রী।