নিজস্ব সংবাদদাতা : একুশের বিধানসভাকে সামনে রেখে রাজ্য বিজেপি যুব মোর্চার ডাকে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে নবান্ন অভিযান। এই অভিযানকে কেন্দ্র করে প্রবল গন্ডগোলের আশঙ্কা করছেন অনেকেই। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের আটকাতে গেলে ধুন্ধুমার বাঁধতে পারে। তার আগে হাওড়া শহরকে কড়া নিরাপত্তার বলয়ে মুড়তে উচ্চ পর্যায়ের পুলিশি বৈঠক অনুষ্ঠিত হল হাওড়ার শরৎ সদনে।
বৃহস্পতিবার বিকালে হাওড়ার শরৎ সদনে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন রাজ্য ও জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সিদ্ধিনাথ গুপ্তা, হাওড়া সিটি পুলিশ কমিশনার কুণাল আগরওয়াল, ডিআইজি পদমর্যাদার বেশ কয়েকজন আধিকারিক সহ হাওড়ার বিভিন্ন থানার আইসি ও ওসিরা।
জানা গেছে, হাওড়া শহরকে পাঁচটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেকটি সেক্টরে ডিআইজি পদ মর্যাদার একজন আধিকারিক দায়িত্বে থাকবেন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েক হাজার পুলিশ ফোর্স হাওড়া শহরে আনা হয়েছে। প্রত্যেকটি জোনে প্রচুর পরিমাণ কমব্যাট ফোর্স, র্যাফের পাশাপাশি জলকামান প্রস্তুত রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বিজেপি সূত্রে খবর, হাওড়া ও কোলকাতার বিভিন্ন জায়গা থেকে ৪ টি মিছিল নবান্নের অভিমুখে রওনা দেবে। বিভিন্ন মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা।
অন্যদিকে, নবান্ন অভিযানে হাওড়া গ্রামীণের প্রচুর পরিমাণ কর্মী-সমর্থক অংশ নেবে বলে আশা প্রকাশ করছেন বিজেপি নেতারা। হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রত্যুষ মন্ডল জানান, “গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় ১০০ টি বাস ও গাড়ি এবং ৭০০-৮০০ টি মোটর সাইকেলে কর্মী-সমর্থকরা নবান্ন অভিযানে অংশ নেবেন।”