নিজস্ব সংবাদদাতা : লকডাউনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে শুরু করেছে সরকার। ইতিমধ্যেই বাংলার কয়েক লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যে ফিরেছেন। তবে তাদের ফেরার পর কোয়ারান্টাইন সেন্টারে থাকা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গন্ডগোলের খবর মিলেছে। কোথাও কোয়ারান্টাইন সেন্টার করতে স্থানীয় মানুষের বাধা আবার কোথাও বা পরিযায়ী শ্রমিকরা এসে সটান বাড়িতে ঢুকে যাচ্ছেন। এইসমস্ত অভিযোগে যখন জেরবার বঙ্গ, তখন হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের এক ব্যবসায়ী নিজের বাড়িতেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে ভিনরাজ্য ফেরত শ্রমিকদের জন্য খুলেছেন কোয়ারান্টাইন সেন্টার। সূত্রের খবর, হাওড়ার জগৎবল্লভপুর থানার অন্তর্ভুক্ত পারগুস্তিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী শ্রীকান্ত সেনাতি তাঁর নির্মীয়মান বাড়িতে কোয়ারান্টাইন সেন্টার খুলেছেন।
কোয়ারান্টাইনউ সেন্টারে থাকছেন দিল্লি, মহারাষ্ট্র সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফেরা পোলগুস্তিয়া ও পারগুস্তিয়া গ্রামের শ্রমিকরা। সেন্টারটির দেখভালের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন স্থানীয় গ্রামীণ পুলিশ প্রসেনজিৎ পাল। সেন্টারে থাকা শ্রমিকদের জন্য বিনামূল্যে খাবার, জল ও বিদ্যুতেরও বন্দোবস্ত করেছেন শ্রীকান্ত, প্রসেনজিতরা। শ্রীকান্ত সেনাতির কথায়, “সরকারি কোয়ারান্টাইন সেন্টার অনেকটা দূরে হওয়ায় গ্রামের ছেলেদের অনেকটা দূরে গিয়ে থাকতে হচ্ছিল। গ্রামে ফেরা শ্রমিকদের অনেকের বাড়িতেই ‘হোম কোয়ারান্টাইন’র থাকার মতো ব্যবস্থা নেই। তাই আমি আমার ১২০০ স্কোয়ার ফুটের বাড়িতেই কোয়ারান্টাইন সেন্টার খোলার সিদ্ধান্ত নিই।”
শ্রীকান্ত বাবু জানান, “স্থানীয় পঞ্চায়েত ও থানার অনুমতি নিয়েইই কোয়ারান্টাইন সেন্টারজ করেছি। এখন ১৪ জন এই সেন্টারে রয়েছেন। ওরা মহারাষ্ট্র ও দিল্লি থেকে ফিরেছে।” কোয়ারান্টাইন সেন্টার নিয়ে যখন সরগরম রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত তখন শ্রীকান্ত, প্রসেনজিতদের এহেন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছে আবাসিকরা। তাঁদের কথায়, “অনেকটাই দূরে সরকারি কোয়ারান্টাইন সেন্টারে যেতে হত। সেক্ষেত্রে বাড়ির লোক নিয়মিত খাবার পৌঁছে দিতে যেতেন। বেশখানিকটা সমস্যার সৃষ্টি হত। এখানে খুব ভালো আছি।” এখন আপাতত গ্রাউন্ড ফ্লোরেই চলছে এই কোয়ারান্টাইন সেন্টার। তবে আবাসিক সংখ্যা বাড়লে ছাদে প্যান্ডেল বেঁধে গ্রামে ফেরা শ্রমিকদের রাখতে চান বাড়ির মালিক শ্রীকান্ত।