নিজস্ব সংবাদদাতা : ভোট পরবর্তী সময়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে বিভিন্ন স্তরের বহু জনপ্রতিনিধি। সম্প্রতি গ্রামীণ হাওড়ার উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভার বাণীবন পঞ্চায়েতের বিজেপি পরিচালিত বানীবন গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ জন বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য ও ১ ফরওয়ার্ড ব্লক সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এরপরই বানীবন গ্রাম পঞ্চায়েত দখলের তৎপরতা শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই মোতাবেক বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যরা। ঠিক ছিল সোমবার ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে অনাস্থা রুখতে হাইকোর্টের দারস্থ হয় বিজেপি নেতৃত্ব।
শুক্রবার এই অনাস্থার বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছেন মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতি। হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপির সভাপতি প্রত্যুষ মন্ডলের অভিযোগ,”ভয় ও লোভ দেখিয়ে ক্রমাগত বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের তৃণমূলে যোগদান করানো হচ্ছে। এই ঘটনা পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পক্ষে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। যার জেরে আমরা আদালতের দারস্থ হয়েছিলাম। আদালত আমাদের আবেদনকে মান্যতা দেওয়ায় আমরা খুশি।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২৪ আসন বিশিষ্ট বানীবন পঞ্চায়েতে শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি ১৩ টি আসনে, তৃণমূল ১০ টি ও ফরওয়ার্ড ১ টি আসন দখল করে। সম্প্রতি বিজেপি ও ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন মোট ৫ জন পঞ্চায়েত সদস্য। ফলে বানীবন গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫। সংখ্যাগরিষ্ঠ পঞ্চায়েত সদস্য হওয়ার পরই প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল।