নিজস্ব সংবাদদাতা : কোথাও যেন ঘুরেফিরে আসছে ২০০৬ এর স্মৃতি। আমতায় বন্যা পরিস্থিতি কার্যত ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে চলেছে। ভাটোরা দ্বীপাঞ্চলের পাশাপাশি বিনলা, শ্যাওড়াবেড়িয়া, রঞ্জবাড় সহ বিভিন্ন গ্রাম ইতিমধ্যেই জলের তলায় চলে গিয়েছে। অন্যদিকে ফুঁসছে মুন্ডেশ্বরী, রামপুর খাল। আশঙ্কা করা হচ্ছে, যেকোনো মুহুর্তেই বড়সড় বিপদ ঘটতে পারে। প্লাবিত হতে পারে আমতা-২ ব্লকের সিংহভাগ অঞ্চল। সেই চিন্তাতেই কার্যত ঘুম উড়েছে স্থানীয় মানুষের।
সোমবার সন্ধ্যায় সাইফুন এলাকায় গিয়ে দেখা গেল খালের পারে মাটির বস্তা ফেলা হচ্ছে। সজাগ হয়ে বাঁধ পাহাড়া দিচ্ছেন গ্রামবাসীরা। শুধু একটি জায়গা নয়, এ চিত্র এখন আমতা-২ ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে। বহু মানুষ নিজেদের বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছেন, আবার কেউ একতলার জিনিস দোতলায় তুলতে ব্যস্ত। সেহাগড়ী ব্রিজে গবাদিপশু ও নিজেদের বাঁচার সম্বলকে সাথে নিয়ে ইতিমধ্যেই অস্থায়ী তাঁবু খাটাতে শুরু করেছেন বেশ কিছু মানুষ মানুষ।
বিভিন্ন বিপজ্জনক নদীবাঁধ ও খালপাড়গুলিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেনারেটর দিয়ে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই বন্যায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে কার্যত ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন আমতার বিধায়ক সুকান্ত কুমার পাল। তিনি রাতদিন ব্লকের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে চলেছেন। তৎপর পুলিশও। ইতিমধ্যেই মানুষকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আবেদন জানিয়ে মাইক হাতে প্রচারে নেমেছেন বিধায়ক সুকান্ত কুমার পাল ও জয়পুর থানার পুলিশ কর্মীরা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই বিপর্যয় মোকাবিলায় এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আমতায় আসেন হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য। সূত্রের মারফত জানা গেছে, মঙ্গলবার আমতা ও উদয়নারায়ণপুরে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসছেন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র।