নিজস্ব সংবাদদাতা : অপেক্ষায় রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁদের মধ্যে থেকেই একজন করে উঠে যাচ্ছেন পাশের ঘরে। সেখানে তাঁদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। হাতে দেওয়া হচ্ছে স্যানিটাইজ়ার। কম্পিউটারে নাম, ঠিকানা-সহ নানা তথ্য তুলে নেওয়া হচ্ছে। তার পরে অন্য একটি ঘরে গিয়ে বসতে হচ্ছে। সেখানে টিকাকরণের ব্যবস্থা থাকছে। সবশেষে চলে যেতে হচ্ছে পর্যবেক্ষণ-কক্ষে। করোনার টিকা কী ভাবে দেওয়া হবে সে বিষয়ে শুক্রবার এভাবেই হাওড়া জেলার তিনটি কেন্দ্রে মহড়া অনুষ্ঠিত হল।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার হাওড়া হাসপাতাল, সাঁকরাইলের রঘুদেববাটি প্রাইমারি হেলথ সেন্টার ও হাওড়া থানার কালীতলা আরবান হেলথ সেন্টারে এই ড্রাই রান হয়েছে। মূলত কীভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তা এদিন হাতেকলমে দেখানো হয়। টিকা প্রদানের যোগ্য পরিকাঠামো আছে কিনা, টিকা প্রদানের সময় কোভিড প্রোটোকল মানা হচ্ছে কিনা তা এদিন খতিয়ে দেখা হয়।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, হাওড়া জেলায় প্রথম পর্যায়ে ৩০ হাজার মানুষের জন্য ৬০ হাজার ডোজ প্রয়োজন। প্রথম পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মী, আশাকর্মী ও স্বাস্থ্য দপ্তরের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত মানুষদের ২৮ দিনের ব্যবধানে দু’টি করে ডোজ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।