নিজস্ব সংবাদদাতা : পাঁজি অনুসারে বর্ষাকাল প্রায় শেষের দিকে।তবে এবারের বর্ষাতে সে যেন অন্যরূপী।কারন গোটা বর্ষাকালটা বৃষ্টি নয়, প্রচন্ড গরম কে সহ্য করেই কেটেছে রাজ্যবাসীর ।বিশেষ করে হাওড়া জেলাবাসীর।পরিসংখ্যান বলছে রাজ্যের অন্যান্য জেলার থেকে হাওড়া জেলায় সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।তবে বর্ষাকালের একদম শেষলগ্নে সে যেন স্বমহিমায়।নতুন করে ঘূর্নাবর্ত সৃষ্টি হওয়ায় এই বৃষ্টি।আর তারজেরে কিছুটা শারীরিক স্বস্তি এলেও জল যন্ত্রণার চিত্র আরও একবার হাওড়া জেলায়।তবে শনিবার সারাদিন ধরে হাওড়া পুরসভার বিশেষ টিম অত্যন্ত তৎপরতায় জমা জলের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে তা প্রশংসাযোগ্য। ভারি বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হাওড়া শহর।শুক্রবার সন্ধ্যে থেকে অনবরত বৃষ্টি পরতে শুরু করেছে।শনিবার সকাল আটটার পর সেই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বেড়েছে।এদিন সকাল থেকেই অনবরত বৃষ্টি হয়।যার জেরে হাওড়া শহরের বেশ কিছু জায়গা জলমগ্ন।প্রতিবছরের মতো এবছরও কিছু রাস্তা এই বৃষ্টিতে জলমগ্ন।
হাওড়ার শহরের পঞ্চাননতলা, বেলিলিয়াস রোড, বেনারস রোড, ইস্ট ওয়েস্ট বাইপাস, জিটি রোডের বেশ কিছু অংশ জলমগ্ন।এছাড়াও হাওড়া -আমতা রোডের বাঁকড়ায় রাস্তা জলমগ্ন।রামরাজাতলা, জগাছায় রাস্তা জলমগ্ন। এককথায় যাত্রী দুর্ভোগের এক চরম অভিজ্ঞতার শিকার হলেন নিত্যযাত্রীরা।এই জল জমার দরুন বিভিন্ন রাস্তায় যানজট হয়।যানবাহন খুব ধীরগতিতে যাতায়াত করে।হাওড়া ডিভিশনালের এই বৃষ্টিপাতের জন্য সমস্ত ট্রেন ধীরগতিতে যাতায়াত করছে।কারশেডে জল জমে গিয়েছে বলে সেখানে ৬ টি লোকাল ট্রেন বাতিল ঘোষণা করা হয়। হাওড়ার বেলেলিয়াস রোড সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা সুভাষ মোদক জানান, প্রতিবছর একটু বেশি বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়।অনেক সময় জল একহাঁটু কাছাকাছি জমে যায় ।এর জন্য নিকাশি ব্যবস্থা এর জন্য নিকাশি ব্যবস্থা আরও ভাল করা উচিত।
এর পাশাপাশি উত্তর হাওড়ার বেশকিছু অংশও জলমগ্ন।উত্তর হাওড়ার বেলুড়, বালি সহ হাওড়ার প্রায় সর্বত্র রাস্তায় জল জমে আছে । মোটকথা শনিবার জলকে সঙ্গী করেই চললেন হাওড়া শহরবাসী। তবে হাওড়া পুরসভা অত্যন্ত তৎপরতায় এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছে।হাওড়া পুরসভার একটি বিশেষ টিম অধিক জল জমা জায়গায় পাম্প চালিয়ে জল নামানোর চেষ্টা করেছে।এই সম্পর্কে হাওড়া পুরসভার কমিশনার বিজিন কৃষ্ণা জানান, হাওড়া পুরসভার কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় নিযুক্ত আছে।তাঁরা ২৪ ঘন্টা কাজ করছেন।বিভিন্ন পাম্পিং স্টেশনে পাম্প চালানো আছে।হাওড়া পুর এলাকায় এরকম ৪৪ টি পাম্প চলেছে।তবে বৃষ্টি না থামলে জল নামতে একটু দেরি হবে।পাশাপাশি হুগলি নদীর জোয়ার চলে গিয়েছে। কারন ভাটার সময় হাওড়া শহরের জমা জল নদীতে পড়ে । তাই আশা করছি রাস্তার জল নেমে যাবে।পাশাপাশি পুরকর্মীরা সবসময় বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন থেকে ম্যানহোল কোথাও খোলা আছে কিনা তা লক্ষ্য রেখেছেন।বিজিনবাবু আরও জানান, হাওড়া পুরসভা এর জন্য একটি কন্ট্রোল রুম খুলেছে।সেখান থেকে যা ডিমান্ড আসছে তার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।পাশাপাশি নবান্নে ও সেচদফতরের কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।