নিজস্ব সংবাদদাতা : ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৭ টা। কুয়াশার ঘোর তখনও কাটেনি। কুয়াশাঘন সকালে কেউ ব্যাগ হাতে সাইকেলে চেপে কেউবা হাঁটাপথেই এগিয়ে চলেছেন বাজারের পথে। রাস্তার পাশের চায়ের দোকানে একদল মানুষ হাতে খবরের কাগজ আর চায়ের কাপ নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত। সেই আলোচনায় কখনও উঠে আসছে নিজেদের স্বাস্থ্যের কথা, কখনো পরিবেশের কথা। আবার কেউবা তুলছেন রাজ্য রাজনীতি কিমবা দেশের বর্তমান অর্থনীতির কথা।
সকাল-সকাল মানুষের দ্বারে পৌঁছে গিয়ে মানুষের কথা শোনার জন্য ‘সকালের চা, সকলের সাথে’ নামক অভিনব কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রত্যুষ মন্ডল। প্রতিদিন সকাল হলেই কোনোরকম দলীয় ঝান্ডা ছাড়াই তিনি পৌঁছে যাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার চায়ের দোকানে। চায়ের গ্লাসে চুমুক দেওয়া প্রৌঢ় কিমবা যুবকদের সাথে মেতে উঠছেন বিভিন্ন আলাপ-আলোচনায়। সেই আলোচনার তালিকায় কখনো থাকছে করোনার কথা, কখনো বা রাজ্য বা স্থানীয় এলাকার রাজনীতির কথা।
শুক্রবার সকালে প্রত্যুষ মন্ডল পৌঁছে গিয়েছিলেন উলুবেড়িয়া পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের বুড়িখালি এলাকার একটি চায়ের দোকানে। তাঁকে চায়ের দোকানে দেখে অনেকেই এগিয়ে আসেন। পুরুষদের পাশাপাশি স্থানীয় মহিলারাও চায়ের আড্ডায় যোগ দেন। প্রত্যুষ মন্ডলের কথায়, “মানুষই গণতন্ত্রের শেষ কথা। সকাল-সকাল মানুষের সাথে চায়ের কাপে এই আড্ডাটা ভীষণ আনন্দদায়ক ও তাৎপর্যপূর্ণ। তাই যতদিন রাজনীতিতে থাকব ততদিন এই আড্ডা চালিয়ে যাব।”
তিনি বলেন, “যুবক থেকে প্রৌঢ়, ছাত্র থেকে নারী সকলেই বাংলার সরকারের প্রতি রীতিমতো ক্ষুব্ধ। সেই সমস্ত কথাবার্তাও মানুষ তুলে ধরছেন। আমিও চেষ্টা করছি তাঁদের অভাব, অভিযোগ শোনার এবং এগিয়ে চলার পথে পরামর্শ নেওয়ার।” এভাবেই সকাল সকাল নিজেদের এলাকায় প্রিয় নেতাকে হঠাৎ দেখতে পেয়ে তাঁর সাথে চায়ের আড্ডায় মেতে উঠছেন বহু মানুষ।