নিরানব্বই বছর বয়সে করোনা যুদ্ধে জয়ী হয়ে জীবনের জয়গান গাইলেন বাগনানের বৃদ্ধা

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদক : আলবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন, “হার না মানার আগে তুমি কখনোই ব্যর্থ হবে না।” জীবনের রঙ্গমঞ্চে দাঁড়িয়ে করোনা নামক মারণভাইরাসের বিরুদ্ধে অকুতোভয়ে লড়াই করে তা-ই প্রমাণ করে দেখালেন গ্রামীণ হাওড়ার বাগনান-১ ব্লকের হারোপ গ্রামের বাসিন্দা নিরানব্বই বছরের ভবতারিণী সামন্ত। করোনাকে হারিয়ে শনিবার বিকালে ফুলেশ্বরের সঞ্জীবন কোভিড হাসপাতাল থেকে নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন শতবর্ষ ছুঁতে চলা বাগনানের এই বৃদ্ধা। করোনা মুক্ত হয়ে ভবতারিণী সামন্ত বাড়ি ফেরায় খুশি হাসপাতালের চিকিৎসক‌, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীরা।

সঞ্জীবন হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ শে নভেম্বর ভবতারিনী দেবীর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপরই ২৪ তারিখ তাঁকে হাওড়া জেলার অন্যতম কোভিড হাসপাতাল ফুলেশ্বরের সঞ্জীবনে ভর্তি করা হয়। এরপর ১০ দিন হাসপাতালের চিকিৎসায় তিনি করোনাকে পরাস্ত করতে সক্ষম হন। শুক্রবার ভবতারিণী সামন্তের রির্পোট নেগেটিভ এলে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সঞ্জীবন

হাসপাতালের ডিরেক্টর চিকিৎসক শুভাশিষ মিত্র জানান, “হাসপাতালের সর্বস্তরের কর্মীদের সমবেত প্রচেষ্টায় আমাদের এই সফলতা।” তিনি বলেন, “করোনাকে হারিয়ে আমরা সবাই জিততে পারি — আমরা এটাই প্রমাণ করালাম। শুধু ভবতারিণী দেবীর মতো বৃদ্ধাই নয়, এর আগেও ফুলেশ্বর সঞ্জীবন হাসপাতাল থেকে অসংখ্য বয়স্ক করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।”

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এখনও পর্যন্ত এই হাসপাতালে প্রায় ৪ হাজার করোনা আক্রান্ত রুগী ভর্তি হয়েছিলেন। যাদের মধ্যে ৩ হাজার ৭০০ জন ইতিমধ্যেই করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ‘করোনা হারবে, মানুষ জিতবে’— করোনাকে হারিয়ে এভাবেই জীবনের জয়গান গাইলেন বাগনানেন ভবতারিণী সামন্ত।