নিজস্ব সংবাদদাতা : উলুবেড়িয়ার বহিরা অঞ্চলের প্রায় শেষ প্রান্তে দেখা যায় একটি নির্মিয়মান মন্দির। দূর থেকে দেখে রাধা কৃষ্ণের মন্দির মনে হলেও সামনে এলেই চমকে উঠতে হয়। মন্দিরের সামনে দ্বিতলে রয়েছে গলায় ট্রেথিস্কোপ ঝোলানো এক চিকিৎসকের আবক্ষ মূর্তি। কিন্তু রাধা কৃষ্ণের নির্মীয়মান মন্দিরে হটাৎ চিকিৎসকের মূর্তি কেন? প্রশ্নের উত্তর দিলেন এই চিকিৎসকের ভাইপো দেবাশীষ সাঁতরা।
তিনি জানালেন এই মূর্তিটি আসলে তার কাকা পেশায় গ্রামীণ চিকিৎসক প্রয়াত মলয় সাঁতরার। নিজে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন হলেও তার চিকিৎসার জাদুতে সারিয়ে তুলতেন হাজার হাজার রোগীকে। প্রতিদিন স্থানীয় মুন্সিপাড়া, আমসা, খাসপুর সহ বিভিন্ন গ্রাম ছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে শয়ে শয়ে শয়ে রোগী আসতেন তার বহিরার বাড়িতে চিকিৎসা করাতে। অতি অল্প টাকার বিনিময়ে তিনি চিকিৎসা করতেন। তার ইচ্ছা ছিল স্থানীয় বাচ্চাদের জন্য একটি বিদ্যালয় ও স্থানীয় মানুষের অনুরোধ মেনে একটি রাধা কৃষ্ণের মন্দির স্থাপন করার। সেই মতোই প্রায় দেড় বিঘা জমি কিনে এই মন্দিরের কাজ শুরু করেন।
কিন্তু মন্দিরের কাজ সম্পন্ন করার আগেই ২০১৬ সালে মাত্র ৪২ বছর বয়সেই তার হঠাৎ মৃত্যু হয়। তার পরেই পরিবারের সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেয় যে, রাধা কৃষ্ণের মন্দিরের পাশাপাশি মলয় বাবুর মুর্তিও স্থাপন করা হবে দেবতা রুপে। দেবাশীষ জানান “জীবে প্রেম করে যেই জন সেইজন সেবিছে ঈশ্বর” উনিও যেভাবে মানুষের সেবা করে গেছেন, তাদের কাছেতো উনি ঈশ্বরের রুপ। তাই তাদের এই সিদ্ধান্ত। তার দাবি মলয় বাবুর মুর্তি বসানোর পাশাপাশি তার ইচ্ছা মতো এই মন্দির তৈরীর কাজ সম্পন্ন হলে এখানে রাধা কৃষ্ণের মুর্তি স্থাপন করা হবে। তাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে এলাকাবাসীও।