নিজস্ব সংবাদদাতা : করোনার জেরে বেলুড় মঠের দুর্গাপুজো ও কালীপুজোয় ভক্তদের প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছিল। দুর্গাপুজো, কালীপুজোর পর বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠের জগদ্ধাত্রী পুজোতেও জনসাধারণের প্রবেশ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল মঠ কর্তৃপক্ষ। ভক্তদের অনলাইনে ইউটিউবে পুজো দেখার অনুরোধ জানানো হয়েছে মঠ কর্তৃপক্ষের তরফে।মঠ কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, দীর্ঘ ৭৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই পুজো এবার মা সারদার প্রার্থনা কক্ষেই অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, নব্বইয়ের দশক অব্ধি এই কক্ষেই পুজো হত। তারপর থেকে প্রার্থনা কক্ষের পাশে কংক্রিটের বেদীতে পুজো হত। এবছর করোনা পরিস্থিতিতে ফের প্রার্থনা কক্ষেই জগদ্ধাত্রী পুজো করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে পুজোর সরাসরি সম্প্রচার সারদাপীঠ ও বেলুড়মঠের নিজস্ব ওয়েবসাইটে দেখা যাবে বলে জানা গেছে। সন্ন্যাসী ও ব্রহ্মচারীরা মিলেই পুজো করবেন। জানা গেছে, আগামী ২২ শে নভেম্বর সন্ধ্যায় বেলুড় মঠে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেবের সন্ধ্যারতির পরে জগদ্ধাত্রী পুজোর অধিবাস হবে। ২৩ নভেম্বর সারা দিন চলবে পুজো। ২৪ শে নভেম্বর সন্ধ্যায় বেলুড় মঠে সারদা মায়ের ঘাটেই হবে প্রতিমা বিসর্জন।
বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠের সম্পাদক স্বামী দিব্যানন্দ মহারাজ বলেন, “করোনা অতিমারী পরিস্থিতিতে আমরা পুজো সংক্ষেপে করব। প্রতি বছর প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পুজো দেখেন, প্রসাদ গ্রহণ করেন এবং পুষ্পাঞ্জলি দেন। হাওড়ার পাশাপাশি হুগলি, বাঁকুড়া, বর্ধমান প্রভৃতি জেলার দুরদুরান্ত থেকেও বহু মানুষ জগদ্ধাত্রী পুজোয় আসেন। এবারে তাঁদের সশরীরে উপস্থিত থেকে পুজো দেখার সুযোগ দিতে পারছি না।”
তিনি আরও বলেন, “অনুষ্ঠান সূচী অনুযায়ী পুজো শুরু হবে। এবছর কয়েকজন মঠের সন্ন্যাসী ভক্তদের জন্য প্রার্থনা করবেন, অঞ্জলি দেবেন। ২৪ তারিখ পর্যন্ত মঠের গেট বন্ধ থাকবে। ২৫ তারিখে মায়ের বেদীতে ঘট রাখা থাকবে। শান্তিজলের ব্যবস্থা থাকবে। কোনও ভক্ত এলে তাঁদের শান্তিজল দেওয়া হবে। পুজো অনলাইনে ইউটিউবে দেখা যাবে। পুজো সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।”