নবান্ন থেকে গ্রামীণ হাওড়ার চারটি দুর্গাপুজোর সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

নিজস্ব সংবাদদাতা : মুখ্যমন্ত্রী নবান্নের সভাঘরের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মাইকে ঘোষণা করলেন ‘ঐতিহাসিক মুহুর্ত’। সত্যিই এ এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ। অন্তত গ্রামীণ হাওড়ার মানুষের জন্য। কোনো বছর গ্রামীণ হাওড়ার কোনো দুর্গাপুজোর উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়ে হয়েছে বলে কেউ মনে করতে পারছেন না। সশরীরে না হলেও নবান্নের সভাঘর থেকে ‘ভার্চুয়াল’ মাধ্যমে আজ বিকালে গ্রামীণ হাওড়ার চারটি দুর্গাপুজো সহ হাওড়া জেলার মোট ৮ টি পুজোর সূচনা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

চারটি পুজোর মধ্যে রয়েছে উলুবেড়িয়ার কাটিলার আশা ভবন, বাগনানের খালোড় যুব সংঘ, আমতার বেতাই সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি ও পাঁচলার রাণীহাটি সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি পরিচালিত দুর্গাপুজো।

মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনকে ঘিরে আগে থেকেই চারটি মন্ডপে ছিল সাজো সাজো রব। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কোনো পুজো মন্ডপে পৌঁছে যান জেলাশাসক, আবার কোথাও বা এস.পি কিমবা স্থানীয় বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী নবান্নের সভাঘর থেকে ঘন্টা বাজানোর মধ্য দিয়ে পুজোগুলির শুভ সূচনা করেন।

উলুবেড়িয়ার আশা ভবনে উপস্থিতি ছিলেন হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য্য, হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার সৌম্য রায়, রাজ্যের মন্ত্রী নির্মল মাজি, বিধায়ক ইদ্রিস আলি, হাওড়া জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্য।

আমতায় উপস্থিত ছিলেন আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত পাল, আমতা-২ ব্লকের বিডিও আসিফ ইকবাল, আমতার ওসি কিঙ্কর মন্ডল।

অন্যদিকে, পাঁচলার রাণীহাটিতে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক গুলসান মল্লিক, বাগনানে বিধায়ক অরুণাভ সেন সহ পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা।

আশা ভবনের পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা তথা আশা ভবনের ডিরেক্টর জন মেরি বাড়ুই জানান, “এবার আমাদের পুজো অষ্টম বছরে পদার্পণ করল। মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়ে আমাদের পুজোর উদ্বোধন হওয়ায় আমরা অত্যন্ত গর্বিত।”