পৃথ্বীশরাজ কুন্তী : স্রষ্টার মৃত্যু হয়না। স্রষ্টারা বেঁচে থাকেন অমর সৃষ্টি ও কীর্তির মধ্য দিয়ে। তেমনই এক অনন্য স্রষ্টা বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানসাধক, আপামর ভারতবাসীর পরমশ্রদ্ধেয় চিরপ্রণম্য ‘মিসাইলম্যান’ তথা ভারতের একাদশতম রাষ্ট্রপতি ড.এ.পি.জে আব্দুল কালাম।
পুরো নাম আবুল পাকির জয়নুল-আবেদিন আব্দুল কালাম। ভারতের প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব কিমবা ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিভাগের একজন কিংবদন্তী পথপ্রদর্শকই নন, আব্দুল কালাম ভারতীয় জনতার কাছে একজন সন্তের নাম; যাঁর জীবন ছিল শুভব্রত ও সেবাব্রতের পূত পবিত্র উজ্জ্বল আলোকে আলোকিত, দেশ ও জাতির কল্যাণসাধনে উৎসর্গীকৃত। তিনি ভারতীয়দের শিখিয়েছেন স্বপ্ন দেখতে। স্বপ্নকে সফল করতে।
অসামান্য আধ্যাত্মিক চেতনার মাধ্যমে তিনি একসূত্রে গ্রথিত করেছেন নানা ধর্ম, ভাষা, জাতি ও মতে বিভক্ত সহস্র কোটি দেশবাসীকে। ভালোবাসতেন স্বপ্ন দেখতে, আর প্রবল ইচ্ছাশক্তি নিয়ে ছুটে চলতেন সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপায়িত করার লক্ষ্যে। ছাত্রসমাজই ছিল তাঁর সাধনার কেন্দ্রবিন্দু। ছাত্র ও যুবদের মাঝেই খুঁজে পেয়েছিলেন জীবনের অপার আনন্দকে। দেশের কোটি কোটি ছাত্র ও যুবকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন।
তাঁর কর্ম, ভাবনা, আত্মত্যাগ, তিতিক্ষা, সৃষ্টি, সংস্কৃতি, কঠোর সাধনা, অদম্য লড়াই কেবল ভারত নয় বিশ্বের যুব সমাজের কাছে আলোকবর্তিকারূপে যুগ যুগ ধরে প্রতিভাত হয়ে চলেছে। ছাত্ররাই ছিল তাঁর জীবনের ধ্যান-জ্ঞান-সাধনা। ছাত্রদের মাঝেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে অমৃতলোকের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন আপামর ভারতবাসীর স্বপ্নপথের দিশারী।
শুধু প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হিসাবেই নন, মেধা, মণীষা এবং সর্বোপরি মানবিকতার অসামান্য নিদর্শনে ইতিহাসে চিরস্মরণীয় ও বরণীয় ব্যক্তিত্ব হয়ে রইলেন ‘ভারতরত্ন’ ড.এপিজে আবদুল কালাম। স্যার, আপনি আপনার বিপুল সৃষ্টিসম্ভার ও অমূল্য বাণীর মধ্য দিয়ে আজও আমার মতো অগণিত ছাত্রছাত্রীর হৃদয়ে সমহিমায় উজ্জ্বল।