নিজস্ব সংবাদদাতা : উত্তরপ্রদেশের হাতরসে দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ ও নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এই পাশবিক ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। যোগীরাজ্যে দলিত কন্যার গণধর্ষণের ঘটনায় আগেই সরব হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
হাতরসে ওই তরুণীর গ্রামে ঢুকতে গেলে ডেরেক ও ‘ব্রায়েন সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল সাংসদকে চরম বাধার মুখোমুখি হতে হয়। এমনকি উত্তরপ্রদেশের পুলিশের দ্বারা ডেরেক ও ব্রায়েন ধরাশায়ী হন বলেও অভিযোগ উঠেছে। তারই প্রতিবাদে আজ বিকালে কোলকাতার রাজপথে নামেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় ঘাসফুল শিবিরের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়। বিকালে পাঁচলা বিধানসভার ধুলোরবাঁধে একটি মিছিলের আয়োজন করা হয়। তিন-সাড়ে তিন হাজার কর্মী সমর্থক নিয়ে প্রায় দু’কিলোমিটার পথ হাঁটেন স্থানীয় বিধায়ক গুলসান মল্লিক।
অন্যদিকে, গ্রামীণ হাওড়ার আমতা বিধানসভার জয়পুরে এক মিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিলে পা মেলান হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিধায়ক পুলক রায়, হাওড়া গ্রামীণ জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র সুকান্ত কুমার পাল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এর পাশাপাশি, উলুবেড়িয়া পৌরসভা থেকে ১১ ফটক পর্যন্ত একটি প্রতিবাদী মিছিলের আয়োজন করা হয়।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক ইদ্রিস আলি, উলুবেড়িয়া পৌরসভার প্রশাসক অভয় দাস, আব্বাসউদ্দীন খান সহ অন্যান্যরা। পাঁচলার বিধায়ক গুলসান মল্লিক ‘উলুবেড়িয়া সংবাদ’-এর প্রতিনিধিকে জানান, “উত্তরপ্রদেশে দলিত মহিলাকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। সারা বাংলার বিভিন্ন ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই পাশবিক ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেই আজকের এই মিছিল।”