ড. সৌরভ দোয়ারী : দীর্ঘদিন ধরে সরকারি-বেসরকারি সংগঠনের তরফে প্রচার, সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সচেতনতার বার্তার ফলে গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন ব্লকে বন্যপ্রাণ সচেতনতার গড়ে উঠেছে। তার নিদর্শনস্বরূপ কখনো বাঘরোল, কখনো সাপ আবার কখনো বা কটাশকে হত্যা না করে বন দপ্তরের হাতে তুলে দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষের মধ্যে এই সচেতনতাবোধ প্রশংসার দাবি রাখে।
এখনো প্রতিদিনই গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বন্যপ্রাণী উদ্ধার করে বন দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়ার খবর মেলে। কিন্তু, এতে আবার এক নতুন সমস্যার উদ্রেক ঘটে। এলাকার প্রাণীর এলাকাছাড়া হওয়া বাড়তে থাকে। পরিবেশে তাদের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে যে জনসচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা শুরু হয়েছিল তা-ই প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়তে শুরু করে। আসলে বনদপ্তরের হাতে কোন পরিস্থিতিতে প্রাণীদের তুলে দিতে হয় তা না জানার ফলেই এই সমস্যা বাড়তে শুরু করে।আর এর জেরেই কোনো স্থানের বাস্তুতন্ত্র বিঘ্নিত হয়।
এবার সুস্থ কচ্ছপকে আর বন দপ্তর নয়, সরাসরি জলাশয়ে ছেড়ে পরিবেশ সচেতনতার নিদর্শন রাখলেন গ্রামীণ হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের দু’ই বাসিন্দা। জানা গেছে, গত শনি ও রবিবার উদয়নারায়ণপুর ব্লকের ভিন্ন দু’টি গ্রাম থেকে দু’টি তিলকাছিম উদ্ধার হয়। একটি অপ্রাপ্তবয়স্ক কাছিমকে পালিয়াড়া গ্রামের রাস্তা থেকে উদ্ধার করেন রাজু দাস নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা। তিনি যোগাযোগ করেন পেশায় শিক্ষক শ্যামল জানার সাথে। শ্যামল বাবুর পরামর্শে সেটিকে ছাড়া হয় ওই গ্রামেরই একটি সুরক্ষিত জলাশয়ে। অন্যদিকে, কল্যানচক গ্রাম থেকে একটি পূর্ণবয়স্ক কাছিম উদ্ধার করেন অঙ্কের শিক্ষক গৌরব মাজী। তিনি স্থানীয় পরিবেশকর্মীদের সহায়তায় এলাকারই জলাশয়ে কাছিমটিকে ছেড়ে দেন।