নিজস্ব সংবাদদাতা : এলাকা দখলকে ঘিরে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল গ্রামীণ হাওড়ার বাগনানের ম্যানলক গ্রাম। অভিযোগ, রবিবার রাতে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকের কাছে টাকা চায় বিজেপি আশ্রিত কয়েকজন দুষ্কৃতি।
তৃণমূল সমর্থকরা টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাদের ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন এলাকার এক স্থানীয় তৃণমূল নেতা। এরপরই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিরা এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি ও বাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা এলাকার দখল নিতে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করে। জানা গেছে, এই ঘটনায় দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার পাশাপাশি প্রায় ১৫ টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার মানুষ।
বাগনানের বিধায়ক অরুণাভ সেন ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, এলাকার প্রাক্তন একজন সিপিএম কর্মী এবং দাগী দুষ্কৃতী পিন্টু ব্যবর্তা সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। যোগ দেয়ার পরই কিছু বিজেপি নেতার মদতে শান্ত এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। রবিবার রাতে আমাদের এক কর্মী যখন বাঁধের রাস্তার পাশে বসে ছিল, তখন পিন্টু ও তার লোকজন তার কাছ থেকে ১০০০০ টাকা তোলা দাবি করে।
টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে ব্যাপক মারধর করে। তার চিৎকারে এলাকার লোকজন সেখানে পৌঁছে গেলে পিন্টু দলবল নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর বোমাবাজি করে। তার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক মামলা রয়েছে বলেও বিধায়ক জানান।
অন্যদিকে, হাওড়া গ্রামীণ জেলার বিজেপি সভাপতি শিবশঙ্কর বেজ বলেন, “সমগ্র রাজ্যজুড়ে যেভাবে তৃণমূল অত্যাচার চালাচ্ছে, বাগনান তার ব্যতিক্রম নয়। রবিবার রাতে হঠাৎ করেই কিছু তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালায় ঘরবাড়ি ভাঙচুর করার পাশাপাশি ব্যাপক বোমাবাজি ও করে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালেও পুলিশকে সামনে রেখেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটান বলে তার অভিযোগ।”
পাশাপাশি তিনি দাবি করেন বাগনানের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। ইচ্ছাকৃতভাবে বিজেপি কর্মীদের কে বেছে বেছে তাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করে তাদের বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রেও তার দাবি তাদের দলের নামে তৃণমূল মিথ্যা অভিযোগ করছে। যাতে করে তাদের দলীয় কর্মীদের কে মিথ্যা মামলায় জড়ানো যায়।