নিজস্ব সংবাদদাতা : সবুজের সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজ্য সরকারের তরফে যখন সবুজ যোদ্ধা, অরণ্য সপ্তাহ সপ্তাহ পালন, বন সৃজন সহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে ঠিক তখনই রাজ্যেরই এক স্কুলে থাকা বেশ কয়েকটি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠল স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গ্রামীণ হাওড়ার পাঁচলা ব্লকের জুজারসা পি এন মান্ন ইন্সটিটিউশনে।
সূত্রের খবর, বছর সাতেক আগে বন সৃজনের লক্ষ্যে স্কুল চত্বরে বেশ কিছু গাছ বসিয়েছিল তৎকালীন স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেইসব গাছই আচমকাই কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে বর্তমান পরিচালন সমিতির বিরুদ্ধে। অভিযোগটি তুলেছেন স্কুলের প্রাক্তন সভাপতি ও এলাকার বেশ কিছু মানুষ। প্রাক্তন সভাপতির কথায়, “গরমে পড়ুয়ারা যাতে একটু ছায়া পায় সেই ভেবে গত ২০১৩ বেশ কিছু গাছ লাগানো হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান পরিচালন সমিতি ঠিক কী কারণে গাছগুলি কেটে ফেলল তা বুঝতে পারছিনা।”
যদিও সব অভিযোগ উড়িয়ে গ্রামীণ হাওড়ার এই স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক শেখ আক্তার আলির দাবি, “আম্ফানের জেরে বেশ কয়েকটি গাছ পড়ে গিয়েছিল। আমি এক শিক্ষককে গাছগুলি সরিয়ে নিতে বলেছিলাম। তিনি সেই মোতাবেক বেশ কয়েকজন শ্রমিক লাগিয়েছিলেন। কিছু গাছ হেলে স্কুল সংলগ্ন বাড়ির চালে পড়ায় ডালপালা ছেঁটে দেওয়া হয়েছে।কোনো গাছ কাটা হয়নি।”
যদিও মাঠের চারপাশের বেশ কিছু গাছ গোড়া থেকে ৩ ফুট রেখে বাকিটা কেটে ফেলা হয়েছে বলে জানা গেছে। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, আম্ফানে স্কুলের কোনো গাছ পড়ে যায়নি। গাছ কাটা ও স্কুল চত্বর পরিষ্কারের জন্য একশো দিনের শ্রমিকদের লাগানো হয়েছিল। বন দপ্তর সূত্রে খবর, স্কুল কর্তৃপক্ষকে গাছ কাটার কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গাছ বাঁচাতে যখন চারিদিকে এতো আন্দোলন, এতো লড়াই, তখন এই ধরনের ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত হবে কিনা সেটাই এখন দেখার।