নিজস্ব সংবাদদাতা : সদর হাওড়ার পাশাপাশি গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন অঞ্চলেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। জেলার বিভিন্ন কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে কড়া লকডাউন চললেও অন্যান্য এলাকায় কার্যত অবাধে মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছেন বহু মানুষ। পারস্পরিক দূরত্ব না মানারও অভিযোগ উঠছে বারেবারে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সংক্রমণ রুখতে কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটল উলুবেড়িয়া পৌরসভা। মঙ্গলবার বিকালে এবিষয়ে উলুবেড়িয়া পৌরসভায় স্বাস্থ্য দপ্তর, পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে একটি ম্যারাথন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক ইদ্রিস আলি, উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায়, হাওড়া গ্রামীণ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বাউরিয়া ও উলুবেড়িয়া থানার আধিকারিক সহ পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের কর্তারা। জানা গেছে, উলুবেড়িয়া পুর এলাকার সমস্ত অঞ্চলে দোকানপাট সকাল ৭ টা থেকে দুপুর ১২ টা অব্ধি খোলা থাকবে। তারপর থেকে শুধুমাত্র মুদিখানা দোকান, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান ও ওষুধের দোকান খুলে রাখা যাবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। অন্যান্য সমস্ত দোকান বন্ধ রাখতে হবে বলে জানান উলুবেড়িয়া পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অভয় দাস। পুরসভা সূত্রে খবর, বর্তমানে উলুবেড়িয়া পৌরসভা এলাকায় সংক্রামিত ব্যক্তির সংখ্যা ৩৭। তবে উলুবেড়িয়া পৌর এলাকায় মাত্র একটি ওয়ার্ডই (২০ নং) কন্টেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষিত ছিল। অভয় দাস জানান, “আমরা ৫ নং ওয়ার্ডকেও কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই ওয়ার্ডের দু’টি এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন করার হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ব্লক-এ এবং ব্লক-সি এই দুটি এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন করা হবে।” এছাড়াও পরে প্রয়োজনে আরো বেশ কিছু ওয়ার্ডকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করার ইঙ্গিত দিয়েছেন অভয়বাবু। জানা গেছে, এবিষয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বুধবার থেকেই পুরসভা কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং এবং বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে পুরকর্তারা জানিয়েছেন। অভয় দাস ও ইদ্রিস আলী বলেন, “কোনভাবেই করোনা পরিস্থিতিকে হাল্কাভাবে নেওয়া হয়নি এবং হবেও না। আমরা এই পরিস্থিতিকে আরও কড়া হাতে মোকাবিলা করব।”
বাড়ছে সংক্রমণ, এবার কড়া পদক্ষেপ উলুবেড়িয়া পুর এলাকায়
Published on: