নিজস্ব সংবাদদাতা : দুষ্কৃতীদের হাত থেকে মেয়ের সম্মান বাঁচাতে গিয়ে মা’য়ের মৃত্যুকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল গ্রামীণ হাওড়ার বাগনান থানার গোপালপুর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল রাতে গোপালপুর গ্রামের এক ছাত্রী তার বাড়ির ছাদে মোবাইলে গেম খেলছিল। সেই সময় ছাদে লুকিয়ে ছিল স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা কুশ বেরা সহ আরও একজন। অভিযোগ, তারা ওই ছাত্রীকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। চিৎকার করে ওঠে বছর বাইশের ছাত্রীটি।
অভিযোগ, মেয়ের চিৎকার শুনে ছাত্রটির মা ছাদে উঠতে গেলে তাঁকে সিঁড়ি থেকে ঠেলে ফেলে দেয় ওই তৃণমূল নেতা। মাথায় প্রচন্ড আঘাত পায় তরুণীর মা। ওই মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হয় বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই ওই মহিলার মৃত্যু হয়। জানা গেছে, মৃতার নাম সীমা দত্ত(৫৩)। আজ সকালে ঘটনার কথা জানাজানি হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাগনান এলাকা।
এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে আসরে নামে গেরুয়া শিবির। অভিযুক্তদের যোগ্য শাস্তির দাবিতে সরব হয় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। ঘটনাস্থলে আসেন বিজেপি সাংসদ লকেট চ্যাটার্জী ও সৌমিত্র খাঁ। বিজেপির পক্ষ থেকে খাদিনান মোড়ে ১৬ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। বাগনান থানার সামনেও শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ।
ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে আসেন হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রানা মুখার্জী। জানা গেছে, বাগনান-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যার স্বামী কুশ বেরা এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসাবেই পরিচিত। এদিন বিকালেই কুশ সহ আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বাগনান থানার পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রানা মুখার্জী জানান, “ইতিমধ্যেই দু’জন অভিযুক্তকে বাগনানে বন্ধুর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যজনকেও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। আগামীকাল তাদের উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে।”