নিজস্ব সংবাদদাতা :আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরিতে স্বজনপোষণের অভিযোগ নতুন নয়। রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গায় বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তবে এবার বেনিয়মের অভিযোগ উঠল বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গ্রামীণ হাওড়ার উলুবেড়িয়া-২ ব্লকের বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। সূত্রের খবর, বিজেপি পরিচালিত বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সামনে সোমবার বিক্ষোভে সামিল হন প্রায় শ’খানেক স্থানীয় বাসিন্দা।
বিক্ষোভে সামিল হওয়া স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিজেপি সদস্যদের ঘনিষ্ঠদের ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, ঝড়ে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থরা ক্ষতিপূরণ পাননি। এমনকি বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, যাঁরা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন তাদের অনেকেরই পাকা বাড়ি রয়েছে। বিক্ষোভকারী সুজাতা হাজরা, তনুশ্রী ধাড়ার মতো মহিলাদের বক্তব্য, “পঞ্চায়েত থেকে আমাদের নাম, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সহ বিভিন্ন তথ্য নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু,যাদের প্রকৃত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি।” তাঁদের আরও অভিযোগ, “গরীব মানুষদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। শুধু বিজেপির সদস্যদের ঘনিষ্ঠদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। আমরা এই দুর্নীতির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
যদিও বিজেপি পরিচালিত বাসুদেবপুর পঞ্চায়েতের প্রধান প্রশান্ত মন্ডল বেনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি পাল্টা অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রশান্ত মন্ডলের কথায়, “আমরা ১৪০০ মানুষের নাম পাঠিয়েছিলাম। তৃণমূল পরিচালিত উলুবেড়িয়া-২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কর্তারা ইচ্ছা করে আমাদের সদস্যদের নাম ঢুকিয়ে দিয়েছে।” এই অভিযোগ অবশ্য মানতে নারাজ তৃণমূল পরিচালিত উলুবেড়িয়া-২ পঞ্চায়েত সমিতি। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সেখ ইলিয়াস ও পঞ্চায়েত সমিতির স্থানীয় সদস্য মৃণাল মাইতি বলেন, “সম্পূর্ণ ভুল অভিযোগ। স্থানীয় পঞ্চায়েত যে নামের তালিকা পাঠিয়েছিল তারই ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। এক্ষেত্রে পঞ্চায়েত সমিতির কোনো ভূমিকা নেই। ওরা নিজেরা বেনিয়ম করে তৃণমূলকে দোষারোপ করতে ব্যস্ত।”