নিজস্ব সংবাদদাতা : “আমাদের পথচলা এক সময় থেমে যায়, জীবন থামে না।” – এটাই ছিল তাঁর জীবনী ‘বিপুলা পৃথিবী’র অন্তিম বাক্য। ৮৩ বছর বয়সে পথচলা থেমে গেল প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, দার্শনিক, চিন্তাবিদ দু’ই বাংলার জাগ্রত বিবেক বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের পথচলা। জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি কিডনি, ফুসফুস ও শ্বাসযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন। গতকাল বিকেল ৪ টে ৫৫ মিনিট নাগাদ ঢাকার একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা সাহিত্যের এই বরেণ্য ব্যক্তিত্ব। আনিসুজ্জামানের জন্ম অবিভক্ত বাংলার বসিরহাটে।
কোলকাতার একটি স্কুলে শিক্ষাজীবন শুরু। উচ্চশিক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরবর্তীকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন অধ্যাপনার কাজ করেছেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং ১৯৬৯-এ পাকিস্তান – বিরোধী গণ-অভ্যুত্থানে তিনি অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। মৌলবাদের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার হয়েছেন বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। তার পাশাপাশি, তাঁর গবেষণা ও রচিত বই বাংলা সাহিত্যকে সুসমৃদ্ধ করেছে। শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের জন্য বহু সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। বাংলাদেশ সরকারের ‘একুশের পদক’ ছাড়াও পেয়েছেন ভারত সরকারের ‘পদ্মভূষণ’। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ দু’ই বাংলার শিক্ষা,সাহিত্য ও সংস্কৃতি মহল।