নিজস্ব সংবাদদাতা : রেশন ডিলাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা। দিনকয়েক আগেও রেশন বন্টনে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, রেশন ডিলারদের মাধ্যমে বোধহয় উল্টো ছবিও দেখা সম্ভব – তারই দৃষ্টান্ত হয়ে রইলেন ওঁরা। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ লকডাউনের জেরে ইতিমধ্যেই কর্মহীন হয়েছেন বহু মানুষ। গৃহস্থের ভাঁড়ারের রসদও শেষ।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ক্লাব সংগঠনের পক্ষ থেকে চাল – ডাল বিতরণ হচ্ছে। অনেকেই খাবার পাচ্ছেন, আবার কিছু মানুষ ব্রাত্যই থেকে যাচ্ছেন। যেমন ওই সাতটি অনাথ শিশু। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মুখে খাবার জোটানোই কার্যত মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছিল সপ্ত শিশুর কাছে। সূত্রের খবর, মুকুন্দপুর অনাথ আশ্রমের সকলেই যে যার বাড়ি ফিরে গেছে। কিন্তু, ওঁদের বাড়িতে এক্কেবারেই কেউ নেই। তাই লকডাউনেও ওদের ঠিকানাটা অনাথ আশ্রম। আশ্রমের যে দিদি ওদের দেখাশোনা করেন তাঁর কপালেও চিন্তার ভাঁজ।
এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দিদি রেশন ডিলারদের সংগঠনের সম্পাদকের খোঁজ পান। তাঁর সাথে যোগাযোগ করলে ঘটনা শুনেই এগিয়ে আসেন বিশ্বম্ভর বসু। নিজের উদ্যোগে ওদের চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজসহ রেশনের ভার নিলেন তিনি। বিশ্বম্ভর বাবু জানান, “এটাই তো আমাদের মনুষ্যত্ব বোধ ফুটিয়ে তোলার সঠিক সময়। যতদিন না লকডাউন ওঠে ওদের রেশন যুগিয়ে যাব আমি।”