নিজস্ব সংবাদদাতা : ‘রেডজোন’ ঘোষণার পরও রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলায় দু’দিন আগেই রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাজ্যের বেশ কয়েকটি অঞ্চলকে কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করে প্রশাসনিক ও পুলিশি নজরদারি আরও কড়া করা হয়েছে।
সদর হাওড়ার বহু অঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামীণ হাওড়ারও বেশ কয়েকটি অঞ্চল রয়েছে এই জোনের মধ্যে। তারপরও জেলার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র আমতার ছবিটা অন্যান্য সময়ের মতো প্রায় একই রয়ে গেছে। এখনও অসচেতনতার পরিচয় দিয়ে অকারণেই আমতায় পথে নামছেন বহু মানুষ।
সকাল হলেই খুলে যাচ্ছে বহু দোকানপাট। বাজারের ব্যাগ হাতে বহু মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন আমতা বাজারে। ব্যাঙ্ক থেকে গ্রাহক সেবা কেন্দ্র কিমবা এ.টি.এম সর্বত্রই চিত্রটা একই। এমনকি মিষ্টির দোকানে মিষ্টি কিনতে গিয়েও ভিড় জমিয়েছেন বেশ কিছু মানুষ।
সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স মেনে চলা তো দূরের কথা, অনেকে মাস্ক ছাড়াই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন আমতার বুকে। যদিও এই অস্বস্তির মাঝে স্বস্তি জুগিয়েছে বেশ কিছু ওষুধের দোকানের সচেতনতামূলক পদক্ষেপ।
আমতা হাসপাতালের পাশ্ববর্তী এলাকায় বেশকিছু ওষুধের দোকান রয়েছে যারা ইতিমধ্যেই ‘নো মাস্ক, নো মেডিসিন’ চালু করে সচেতনতার পরিচয় দিচ্ছেন। পাশাপাশি, সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সও মেনে চলার জন্য সেখানে বারবার অনুরোধ করা হচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে দু’একটি জায়গায় নিয়মিত মাইকিং করা হলেও আমতার বেশ কিছু মানুষ যে লকডাউনকে বড্ড হালকাভাবে নিচ্ছেন তা বলাই যায়।