নিজস্ব সংবাদদাতা : দেশের পাশাপাশি এরাজ্যেও বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মুখ্যমন্ত্রী হাওড়াকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করার পরই হাওড়া শহর জুড়ে চূড়ান্ত প্রশাসনিক ও পুলিশি তৎপরতা শুরু হয়েছে। বন্ধ বাজার – দোকানপাট। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে হাওড়ার বিভিন্ন থানা এলাকায় মুদিখানার সামগ্রী এবং ওষুধপত্র বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতে অভিনব উদ্যোগ নিল হাওড়া সিটি পুলিশ। সিটি পুলিশের তরফে হোম ডেলিভারি কন্ট্যাক্ট পোর্টাল নামক একটি বিশেষ পোর্টাল চালু করা হয়েছে। সেখানে প্রতিটি থানা এলাকায় ওষুধপত্র ও মুদিখানা সামগ্রী পেতে কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে তাদের নাম ও ফোন নম্বর দেওয়া রয়েছে। সেই ফোন নম্বরে ফোন করে অর্ডার করলেই হোম ডেলিভারির মাধ্যমে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে যাবে সেই সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিস। এই কাজের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রশাসনের তরফে বেশ কয়েকজন করে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে।
এব্যাপারে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ক্লাবগুলিরও সাহায্য নেওয়া হয়েছে। যারা এই লকডাউন পরিস্থিতিতে বাড়ি বাড়ি প্রয়োজনীয় জিনিস ও ওষুধ পৌঁছে দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের উৎসাহিত করতে মঙ্গলবার সকালে হাওড়া সিটি পুলিশ উদ্যোগে তাদের হাতে এদিন ‘লকডাউন সোলজার্স’ লেখা বিশেষ টি-শার্ট তুলে দেওয়া হয়। এই টি-শার্ট পরেই ডেলিভারি লকডাউন সোলজার্স’রা সোস্যাল সার্ভিস দেবেন। এদিন সকালে সালকিয়া বেনারস রোড সহ মালিপাঁচঘড়া থানার বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন সোলজার’দের হাতে টি-শার্ট তুলে দেন মালিপাঁচঘড়া থানার আইসি অমিত কুমার মিত্র। প্রসঙ্গত, হাওড়া পুর এলাকায় মানুষ কোনোভাবেই যাতে বাড়ির বাইরে না বেরোন তা নিশ্চিত করতেই এই হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা। শুধুমাত্র ওষুধ ও মুদিখানার সামগ্রীর অর্ডার নিয়ে বাড়ি বাড়ি হোম ডেলিভারি করা হবে। এছাড়া কাঁচা সব্জি, মাছ, ডিম ও মাংস পাড়ায় পাড়ায় গাড়িতে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। কোনও বাজারও আর খোলা থাকছে না। হাওড়া শহরে লকডাউন পুরোপুরি কার্যকর করতে হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে এহেন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।