নিজস্ব সংবাদদাতা : সদর হাওড়ার পাশাপাশি ইতিমধ্যেই গ্রামীণ হাওড়াতেও থাবা বসিয়েছে মহামারী করোনা। তবুও বিন্দুমাত্র হুঁশ ফেরেনি গ্রামীণ হাওড়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে।
আমতা থেকে উলুবেড়িয়া কিমবা বাগনান থেকে শ্যামপুর – সমস্ত জায়গায় চিত্রটা এক। বাজার – রেশন দোকান কিমবা পাড়ার মোড়ের চায়ের আড্ডায় ভিড় জমাচ্ছেন বহু মানুষ।
পাড়ার ক্লাবে চুটিয়ে চলছে চায়ের আসর। পাশাপাশি, সকাল হলেই ব্যাঙ্ক, এ.টি.এম ও গ্রাহক সেবা কেন্দ্রের সামনে ভিড় জমাচ্ছেন বহু মানুষ। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা বহু মানুষের মুখে নেই কোনো মাস্ক।
কেউ কেউ তো আবার শিশু কোলেই লাইনে দাঁড়িয়েছেন। নেই বিন্দুমাত্র সচেতনতার লক্ষণ। নেই পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনো উদ্যোগ। লাইন নজরদারির জন্য সিভিক ভলেন্টিয়াররা থাকলেও তাঁদের ভূমিকাও যথেষ্ট নয়।
চিন, ইতালি, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মতো ধনী ও প্রভাবশালী দেশের পাশাপাশি ভারতেও শুরু হয়েছে মৃত্যু মিছিল। তারপরও এই চূড়ান্ত অসচেতনতার নিদর্শনই যেন আমাদের কানে কানে বলে যায় – we are digging our own graves.