নিজস্ব সংবাদদাতা : রেঁস্তোরা কিংবা বাড়িতে সাড়ম্বরে জন্মদিন পালন—এই ভাবনা থেকে বেড়িয়ে এখন বহু মানুষই জন্মদিনের আনন্দ ভাগ করে নেন পথশিশু কিমবা বৃদ্ধাশ্রম-অনাথ আশ্রমের আবাসিকদের সাথে। এবার সুস্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিজের জন্মদিনে আগামীর রূপকারদের হাতে আস্ত ‘ডাস্টবিন’ তুলে দিলেন বাগনান-১ ব্লকের কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা অরূপ পাল। সূত্রের খবর, এবার তিথি অনুসারে দোলপূর্ণিমার দিনই বেসরকারি কোম্পানির কর্মী অরূপের জন্মদিন হওয়ায় তিনি নিজের জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশেষভাবে উদ্যোগী হন। এব্যাপারে তিনি দারস্থ হন আমতার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বপ্ন দেখার উজান গাঙ’-এর। উল্লেখ্য, অরূপও এই সংস্থার একজন একনিষ্ঠ সদস্য।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে অরূপের ২৯ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দ’শটি ডাস্টবিন প্রদান করার ব্যবস্থা করে। এই তালিকায় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশাপাশি রয়েছে একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও দু’একটি ক্লাব।হঠাৎ এই ভাবনা কেন—এই প্রসঙ্গে অরূপ পাল বলেন, “মায়ের হাত ধরে দোলপূর্ণিমা তিথিতে পৃথিবীর আলো দেখেছিলাম। অনেকদিন বাদে দোলপূর্ণিমা তিথিটাও আমার জন্মদিনে পরল। তাই ভেবেছিলাম এই বিশেষ দিনটিকে অন্যভাবে পালন করব। তাই আমার সংস্থার কর্তাদের জানাই।তাঁদের ভাবনা ও উদ্যোগেই এই আয়োজন। ” যদিও দোলপূর্ণিমার দিন বিদ্যালয়গুলি বন্ধ থাকায় জন্মদিনের আগেই বিদ্যালয়গুলিতে গিয়ে সংস্থার সদস্যরা পড়ুয়াদের হাতে তুলে দিয়েছে বাসন্তী বর্ণের ডাস্টবিন।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির সম্পাদক তাপস পাল জানান, “শিক্ষার জন্য প্রয়োজন সুস্থ ও নির্মল পরিবেশ।ইতিমধ্যেই বিদ্যালয়গুলিতে সরকারি বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।তার পাশাপাশি,ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আরও বেশি সচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যেই তাদের হাতে ডাস্টবিন তুলে দেওয়ার এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। “এহেন অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও। ডাস্টবিন তুলে দেওয়া হয়েছে আমতা-১ ব্লকের সোনামুই ফতে সিং উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের হাতে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক দয়াময় ভট্টাচার্য জানান, “এই ধরনের অভূতপূর্ব প্রয়াস ছাত্রছাত্রীদের সুন্দর পরিবেশ তোলায় উদ্বুদ্ধ করবে। “বসন্ত উৎসবে যখন মাতোয়ারা বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত, ঠিক সেই মুহুর্তেই অরূপ দাদা’র জন্মদিনে ‘বাসন্তী’ বর্ণের ডাস্টবিন উপহার পেয়ে খুশি ছাত্রছাত্রীরা।