নিজস্ব সংবাদদাতা : পূজা, তুলিজুলি, বেবী, পূর্নিমা, পুতুল, বাবলি সহ আরো অনেক চলতে পারে না। এদের কেউ চলতে পারেনি,কারো স্বাভাবিক বুদ্ধির বিকাশ ঘটেনি,কেউ দেখতে পায়নি,কেউ আবার বোবা । এদের বলা হয়ে থাকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন।
এই সব বালিকাদের বয়স আঠারো বছরের মধ্যে। এরা থাকে হোমে। এদের ঠিকানা গ্রামিন হাওড়ার উলুবেড়িয়া থানার কাটিলার আশাভবন সেন্টারে। ওই হোমের বারান্দায় বসে এই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বালিকারা গাঁদাফুলগুলোকে কাঁচি দিয়ে কাটছে,কেউ আবার গোলাপ ও অপরাজিতা সহ একাধিক ফুলের পাপড়িকে আলাদা করে দিচ্ছে।
সেই ফুলগুলোকে মেসিনের সাহায্যে গুঁড়া করে তা রোদে শুকাতে দেওয়া হয়েছে। দামী পারফিউম দিয়ে মেশানোর পর রোদে শুকিয়ে একাধিক প্রক্রিয়ায় তৈরী হয়ে যাচ্ছে ভেষজ আবির। সেই ভেষজ আবীর মাটির ভাঁড়ে ভর্তি করা হচ্ছে।
এই সব ভেষজ আবির তৈরীর কারিগর হলো বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন প্রতিবন্ধীরা। এদের কাজে সহযোগিতা করছে মন্টু মন্ডল,মন্টু নিজে একজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বালক। তপন সাউ, সেখ ফারুকরা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন না হলেও তাঁরা ও এই ভেষজ আবীর করার কারিগর।
ওই হোমের সুপারিনটেনডেন্ট অরুনিমা জাশু বলেন, আমাদের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বালিকারা যে ভেষজ আবীর তৈরি করছেন,তাতে দুটো বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছি। একদিকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বালিকাদের স্বনির্ভর করার চেষ্টা।
অন্যদিকে এই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বালিকারা কেমিক্যাল যুক্ত আবীর নয়। পরিবেশ রক্ষায় ভেষজ আবিরের ব্যবহার।অরুনিমা জানান এই আবীর সাধারন মানুষ ব্যবহার করছেন নিরাপদে। এমনকি প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ভেষজ আবির সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানান অরুনিমা।