নিজস্ব সংবাদদাতা : এক যুবকের রহস্য মৃত্যুকে চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। মৃত যুবক রমেশ ভাগ (১৮) রাজাপুর থানা এলাকার বড়গ্রাম আমতলার বাসিন্দা। রমেশের মৃত্যুর সাথে যোগ আছে, এই সন্দেহে তার দুই বন্ধুকে আটকে রেখে ব্যাপক মারধোরের অভিযোগ এলাকার লোকজনের বিরুদ্ধে। পরে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় রাজাপুর থানার পুলিশ। জানা গেছে রমেশকে গত বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তার ৪ বন্ধু। রাতে বাড়ি না তার খোঁজ শুরু করে পরিবারের লোকজন। শুক্রবার ভোরে আমতা থানা এলাকার ছোটপোল এলাকা থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
অন্যদিকে রমেশের সাথে সেদিন থাকা তার এক বন্ধু শ্যামল বৃহস্পতিবার রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরলে, তার পরিবারের লোকজন তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। মঙ্গলবার শ্যামল একটু সুস্থ হওয়ার পর সে রমেশের পরিবারের লোকজনকে জানায় যে, রমেশের আরও দুই বন্ধু পলাশ ও আকাশ রমেশের মৃত্যুর সাথে জড়িত। তার পরেই গ্রামবাসীদের ক্ষোভ গিয়ে পড়ে পলাশ ও আকাশের উপর। তাদের দুইজনকে আটকে রেখে ব্যাপক মারধোর শুরু করে এলাকার লোকজন। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় রাজাপুর থানার পুলিশ দুই যুবককে উদ্ধার যায়। কিন্তু গ্রামবাসীদের বাধার মুখে তারা পিছু হটে।
পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দুই যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। মৃতের পিসিমা লক্ষী দলুই বলেন বৃহস্পতিবার রাতে কাঁচি সারানোর নাম করে রমেশ ও শ্যামলকে ডেকে নিয়ে যায় পলাশ, আকাশ, রাজা ও পলাসের এক জামাইবাবু। তারাই মদের সাথে কিছু খাইয়ে রমেশ ও শ্যামলকে খুনের চেষ্টা করে। শ্যামল কোনভাবে বেঁচে গেলেও রমেশের মৃত্যু হয়। তার অভিযোগ শ্যামল মাঝে মধ্যেই পলাশের স্ত্রীকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করতো। সেই কারণেই পরিকল্পনা করে তাকে খুনের চেষ্টা করেছিল অভিযুক্তরা। রমেশ সেটা দেখে বেলাতেই তাকে কাঁচি দিয়ে খুঁচিয়ে খুন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।